এক মাস ধরে আমার কাশি ও গলা ব্যথা। চিকিৎসকের কাছে যাওয়া-আসার মধ্যে আছি । এই সময়ে কারো ফোনই ধরতে পারিনি। চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছিলেন কথা না বলতে।
সেই সঙ্গে গলায় প্রেশার পড়বে এমন কিছু থেকেও বিরত থাকতে বলেছিলেন। সেই কারণে ফোন থেকে দূরে ছিলাম। তবে লাভ হলো কই! একটু সুস্থ হয়ে ১৭ ডিসেম্বর রাতে রাশিদ পলাশের ‘রংবাজার’ ছবির শুটিং করেছিলাম। সারা রাত ঢাকার আগারগাঁও ও এর আশপাশে শুটিং হয়েছে। কুয়াশার মধ্যে শুটিং করে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এখন আগের মতোই হচ্ছে, কথা বলতে গেলেই কাশি লাগছে, আবার কষ্টও হচ্ছে।
গতকাল গোপালগঞ্জ যাওয়ার কথা ছিল সকালে। ‘তোমার চোখে বাংলাদেশ’ শিরোনামে ফটোগ্রাফারদের একটা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আমার অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গলায় এত ব্যথা যে সকালে উঠতেই পারলাম না। এর মধ্যে তো বেশ কয়েকটি নাটকের কাজ হাতে নিয়েছিলাম।
আজ [বৃহস্পতিবার] থেকে ফরিদুল হাসান ভাইয়ের দুটি নাটকের শুটিং করার কথা আমার। মিরপুর বেড়িবাঁধে শুটিং হবে নাটক দুটির। জানি না করতে পারব কি না! কারণ শুটিংয়ে সংলাপ তো বলতে হবে। সেটাই তো বলতে কষ্ট হচ্ছে। এখন আমি যদি শিডিউল ফাঁসিয়ে দিই তাহলে পরিচালক পড়বেন বিপদে। কারণ আমার সঙ্গে অন্য শিল্পীদের শিডিউল মিলিয়েছেন তিনি। এখন রোজার ঈদের কাজ, আবার ভালোবাসা দিবসের কাজ নিয়ে প্রত্যেক শিল্পীই ব্যস্ত। এই সময় কারো শিডিউল ফেল করলে নতুন করে পাওয়াটা কষ্টকর হয়ে যাবে।
সেটা কি আর বলতে! প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীর ‘পিক টাইম’টা থাকে ডিসেম্বর থেকে। এই সময়ে ভালোবাসা দিবস, দুই ঈদ মিলিয়ে অনেক কাজ হয়। তা ছাড়া শুটিংয়ের জন্য এই সময়টা খুব পারফেক্ট। অথচ এই সময়েই আমি অসুস্থ হয়ে পড়লাম। অনেক নাটক, ওয়েব ছবির কাজ ছেড়ে দিতে হয়েছে। কারণ অসুস্থ অবস্থায় তো শুটিং করা সম্ভব নয়। এখন পরিস্থিতি মেনে নেওয়া ছাড়া উপায়ও নেই।
এখনই হতাশ হওয়ার কারণ নেই। আগের থেকে অনেকটা সুস্থ হয়েছি। তবে মাঝখানে রাতে শুটিং করাটা আমার ভুল হয়েছে। নইলে এখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতাম। যাহোক, চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। নতুন পরামর্শ অনুযায়ী চলছি। আশা করছি এ সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাব। তখন নতুন কাজ হাতে নেব।
ছবিটির শুটিং শেষ হয়েছে আগেই। এখন পোস্ট প্রডাকশনের কাজও শেষের পথে। পরিচালক সোহেল রানা বয়াতি জানিয়েছেন, নতুন বছরের ভালো একটি দিনে ছবিটি মুক্তি দিতে চান।