বিয়ের আসরে স্ত্রী এবং আরও তিনজনকে গুলি করে হত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি একজন প্যারা-অ্যাথলেট এবং দেশটির সাবেক সেনা সদস্য। স্থানীয় সময় শনিবার (২৫ নভেম্বর) উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডে ২৯ বছর বয়সী চাতুরং সুকসুক এবং ৪৪ বছরের কাঞ্চনা পাচুনথুয়েকের বিয়ে হয়।
এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিয়ের পর হঠাৎ করেই সেখান থেকে চলে যান কাঞ্চনা। এরপর হাতে একটি বন্দুক নিয়ে বিয়ের আসরে ফিরে আসেন তিনি। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি তার স্ত্রী, শাশুড়ি (৬২) এবং শ্যালিকাকে গুলি করেন। তারা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
ওই ব্যক্তি বন্দুক থেকে গুলি ছোড়ার সময় আরও দুই অতিথিও গুলিবিদ্ধ হন। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে একজনের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছেন, সে সময় কাঞ্চনা পাচুনথুয়েক কিছুটা নেশাগ্রস্ত ছিলেন। কিন্তু কী কারণে তিনি এমন কাণ্ড ঘটালেন তা পরিষ্কার নয়। গত বছরই তিনি বৈধভাবে একটি বন্দুক কিনেছিলেন এবং সেটা দিয়েই তিনি চারজনকে গুলি করে হত্যা করেছেন।
বিয়ের আসরে আসা অতিথিদের বরাত দিয়ে থাই গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠান চলাকালীন ওই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে যে, চাতুরং সুকসুক তার এবং কাঞ্চনার বয়সের ব্যবধান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন।
কিন্তু এগুলো সবই আসলে শোনা খবর বা জল্পনা। প্রকৃতপক্ষে দুজনের মধ্যে কী ঘটেছে বা বিয়ের আসরে এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কেন ঘটলো তা এখনও পরিষ্কার নয়। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ যোগাড়ের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। খুব শিগগির এই মামলার ইতি টানা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তারা।
থাই গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই দম্পতি বিয়ের আগে থেকেই প্রায় তিন বছর ধরে একসঙ্গে বসবাস করছিলেন। গত বছর আসিয়ান প্যারা গেমসে সাতারে সিলভার মেডেল জয় করেন কাঞ্চনা। এর আগে থাইল্যান্ডের সীমান্তে প্যারামিলিটারি ফোর্সের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি ডান পা হারান।
থাইল্যান্ডে বন্দুক নিয়ে হামলার ঘটনা খুবই বিরল। সে কারণে দেশটিতে খুব সহজেই বন্দুক কেনা যায়। এর আগে গত মাসে ব্যাংককের একটি বিলাসবহুল মার্কেটে বন্দুক হামলার ঘটনায় তিনজন নিহত হয়।