ঘুমের ওষুধ খেয়ে গত বুধবার রাতে ঢাকার এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিশা, পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরে ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করায় মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিশা। এর পর থেকে তানজিন তিশা ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দেন। এরপর পোস্ট প্রত্যাহারও করেন। অভিনয়ের বাইরের কর্মকাণ্ডে কয়েক দিন ধরে আলোচনায় তানজিন তিশা। এসব ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্তও ছিলেন বলে জানা যায়। এরপর পরিবার ও কাছের মানুষদের পরামর্শে আইনি সহায়তা নিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে গেলেন তিশা।
আজ সোমবার বিকেলে তানজিন তিশা ঢাকার মিন্টো রোডের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন হারুন নিজে। জানা গেছে, ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা নিয়ে তিশা ডিবি কার্যালয়ে গেছেন। এসব নিয়ে আইনি সহায়তা কীভাবে পেতে পারেন, সে বিষয়ে পরামর্শ নিতেই তাঁর সেখানে যাওয়া। বিকেলে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ডিবি প্রধানের কার্যালয়ে অবস্থান করেন তিশা।
১৬ নভেম্বর অভিনেত্রী তানজিন তিশা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এদিন ভোর থেকে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। তিনি হাসপাতালেও চিকিৎসা নেন বলে জানা যায়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে নানা ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবে হাসপাতাল থেকে ফিরে তানজিন তিশা ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি এ ঘটনা বিস্তারিত তুলে ধরেন। ফেসবুক পোস্টে তিশা লেখেন, ‘বিগত কয়েক দিনের অসুস্থতা এবং আমার পারসোনাল লাইফ নিয়ে নানা ভিত্তিহীন কথা ও সংবাদ এবং পরিচিত ও অপরিচিত বিভিন্ন ফোনকলে আমি অনেকটাই মেন্টালি পাজলড ছিলাম।
এমন সময়ে এক সাংবাদিক ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তেজিত হয়ে কিছু কথা বলে ফেলি, যা আসলে ইনটেনশনালি ছিল না।
সাংবাদিক ভাইদের উদ্দেশে আমি একটা কথা বলতে চাই, আমার সফলতার একটা অংশজুড়ে আপনারাও আছেন এবং আপনাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও সম্মান সব সময়ই ছিল এবং থাকবে। আমার অনাকাঙ্ক্ষিত কথায় আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’