ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃত্যুর আগে বলেছিলেন খুনিদের নাম।

গাইবান্ধার সুন্দরঞ্জে দুুর্রৃত্তদের হামলায় নিহত যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামকে (৩৮) মৃত্যুর আগে  সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনের নাম বলেন তিনি।

ওইসময় ধারণ করা ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘মুছা, ছামু, ইমতিয়াজ, মুছা কারিমুল্লার ছেলে খাদেমুলসহ সাত-আটজন হঠাৎ করে পথরোধ করে ছুরিকাঘাত করে হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়।’ কেন ছুরিকাঘাত করা হয়েছে জানতে চাইলে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি আর ওরা বিএনপি-জামায়াত করে। সেজন্য তারা আমাকে এ কাজ করছে।’

রোববার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুল ও কবির মিয়া নামের একজন মোটরসাইকেলে করে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখা মারা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে ৭-৮ জন তাদের গতিরোধ করে হামলা চালান। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের হাত-পায়ের রগ কেটে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। আর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় তার সঙ্গে থাকা কবিরকে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা।

জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির পর রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার। নিহত জাহিদুল ইসলাম উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে সুন্দরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জি  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মিলন কুমার চ্যাটার্জি জানান, বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা বিএনপি-জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করেছি। যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম মারা যাওয়ার আগে কয়েকজনের নাম বলেছেন। এদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’ গ্রেফতাররা হলেন উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের ছামু মিয়া (৩২), পূর্ব শিবরাম গ্রামের মিজানুর রহমান (৩০), একই গ্রামের মোশাররফ হোসেন (২৫), মধ্য শিবরাম গ্রামের আবদুস সাত্তার মিয়া (৬৪) ও শিবরাম গ্রামের এছমোতারা বেগম (৩৫)।

মৃত্যুর আগে বলেছিলেন খুনিদের নাম।

আপডেট সময় ১০:৪২:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

গাইবান্ধার সুন্দরঞ্জে দুুর্রৃত্তদের হামলায় নিহত যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামকে (৩৮) মৃত্যুর আগে  সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনের নাম বলেন তিনি।

ওইসময় ধারণ করা ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘মুছা, ছামু, ইমতিয়াজ, মুছা কারিমুল্লার ছেলে খাদেমুলসহ সাত-আটজন হঠাৎ করে পথরোধ করে ছুরিকাঘাত করে হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়।’ কেন ছুরিকাঘাত করা হয়েছে জানতে চাইলে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি আর ওরা বিএনপি-জামায়াত করে। সেজন্য তারা আমাকে এ কাজ করছে।’

রোববার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুল ও কবির মিয়া নামের একজন মোটরসাইকেলে করে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখা মারা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে ৭-৮ জন তাদের গতিরোধ করে হামলা চালান। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের হাত-পায়ের রগ কেটে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। আর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় তার সঙ্গে থাকা কবিরকে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা।

জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির পর রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার। নিহত জাহিদুল ইসলাম উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে সুন্দরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জি  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মিলন কুমার চ্যাটার্জি জানান, বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা বিএনপি-জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করেছি। যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম মারা যাওয়ার আগে কয়েকজনের নাম বলেছেন। এদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’ গ্রেফতাররা হলেন উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের ছামু মিয়া (৩২), পূর্ব শিবরাম গ্রামের মিজানুর রহমান (৩০), একই গ্রামের মোশাররফ হোসেন (২৫), মধ্য শিবরাম গ্রামের আবদুস সাত্তার মিয়া (৬৪) ও শিবরাম গ্রামের এছমোতারা বেগম (৩৫)।