নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলায় গভীর নলকূপে বিদ্যুতের সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড জয়জয়পুর গ্রামের পূর্বমাঠ চুনপুকুরা নামক এলাকায় এঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জয়জয়পুর গ্রামের মোতাব্বের হোসেন মনা (৩১) এবং একই গ্রামের কৃষি শ্রমিক সামছুন মুরমু (৫৫)। আহতরা হলেন- নিহত মনার বাবা দুলাল হোসেন (৫৫) ও তার ছোট ভাই রাফি হোসেন (২২)। এর মধ্যে রাফির অবস্থার আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জয়জয়পুর গ্রামের দুলাল হোসেন তার জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অগভীর নলকূপের (এসটিডব্লিউ) আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে তার নামে একটি এসটিডব্লিউ বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ পাওয়া নলকূপে শনিবার দুপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ধামইরহাট জোনাল অফিসের লোকজন মাঠে যায়।
এসময় সংযোগ প্রদানের সময় দুলাল হোসেন, তার ছেলে মোতাব্বের হোসেন মনা, আব্দুল্লাহ আল রাফি ও তাদের কৃষি শ্রমিক সামছুন মুরমু নলকূপ ঘরের টিনের ছাউনি দেওয়ার কাজ করছিলেন। তখন মনা ও সামছুন মুরমু বিদ্যুতের লাইনের তার ধরে ছিলেন। হঠাৎ তারা বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ধামইরহাট জোনের উপ-মহাব্যবস্থাপক এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুলাল হোসেনের নলকূপ ঘরের টিনের ছাউনির কাজ শেষ হলে সংযোগ দেওয়ার জন্য সবাই অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ নলকূপের বিদ্যুৎ লাইনে সংযোগ চলে আসে।
এতে এ অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, আমি পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা জানার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।