ঢাকা ১০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ

‘আমরা দিন দিন বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি’

আমরা ক্ষুধায় খুব কষ্ট পাচ্ছি।  দিনে এক বেলা খাবার খাচ্ছি। যেটুকু খাবার ঘরে ছিল, তা-ও শেষ হওয়ার পথে। খাওয়ার পানিও একেবারে শেষ পর্যায়ে। এটি শুধু আমার নয়, পুরো গাজার চিত্র।ঘরে ঘরে ক্ষুধার্ত শিশুর কান্না। ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান থেকে ফেলা বোমায় মানুষ মরছে। কিছু সময় পর পর বোমার শব্দ।

শিশুরাও রক্তাক্ত হচ্ছে। তাদের যখন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্সে করে, সেই অ্যাম্বুল্যান্সেও ইসরায়েল বোমা মারছে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ নেই। যেগুলো আছে সেগুলোও নষ্ট হচ্ছে। কারণ বিদ্যুৎ নেই।

হাসপাতালের হিমঘরে থাকা মরদেহগুলো পচতে শুরু করেছে। পশ্চিমা বিশ্ব, পশ্চিমা গণমাধ্যম এগুলো দেখছে না। যে সাংবাদিকরা এসব ধ্বংসযজ্ঞ, করুণ দৃশ্য দেখানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছেন। ইসরায়েল এসব দৃশ্য বিশ্বের কাছ থেকে আড়াল করতে চায়। এ জন্যই তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

কারণ চার্জ দিতে না পারলে একসময় সব মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আর বাইরের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ থাকবে না। এককথায়, আমরা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি । হামাস নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যম অনেক কথা বলছে। হামাসের প্রতিরোধসংগ্রামকে সন্ত্রাস হিসেবে প্রচার করছে। অথচ প্রতিদিনই ইসরায়েলিরা আমাদের মাতৃভূমি কেড়ে নিচ্ছে। আমাদের ওপর নির্বিচারে গুলি ছুড়ছে। প্রতিদিনই কেউ না কেউ হতাহত হচ্ছে ইসরায়েলিদের গুলিতে। তখন তো কেউ সেগুলোকে বর্বরতা বলে না।

বিশ্ব আমাদের সঙ্গে নেই—এ কথা আমরা বলব না। বলব, পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের সঙ্গে নেই। তারাই আমাদের সমস্যা জিইয়ে রেখেছে। আমাদের তিলে তিলে মারছে। এটি এক দিন, এক সপ্তাহ, এক মাস বা এক বছরের চিত্র নয়। যুগ যুগ ধরে চলছে।  লোকজন যখন আশ্রয়ের খোঁজে তুলনামূলক নিরাপদ এলাকার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তখনো তাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ করছে। এবার তারা ঘোষণা দিচ্ছে, স্থল, নৌ ও আকাশপথে হামলা করবে। আমরা যেন গাজা ছেড়ে যাই।

আমরা যাব কোথায়? এটি আমাদের মাতৃভূমি। আমাদের জন্ম এখানে। দখলদাররা আমাদের ভূখণ্ড ছেড়ে যেতে বলছে! এটা অবিশ্বাস্য! এবার ওরা আমাদের বাঁচার শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নিতে চায়। আমাদের গাজার মানচিত্র থেকে পুরোপুরি মুছে ফেলতে চায়

আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

‘আমরা দিন দিন বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি’

আপডেট সময় ১১:২৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

আমরা ক্ষুধায় খুব কষ্ট পাচ্ছি।  দিনে এক বেলা খাবার খাচ্ছি। যেটুকু খাবার ঘরে ছিল, তা-ও শেষ হওয়ার পথে। খাওয়ার পানিও একেবারে শেষ পর্যায়ে। এটি শুধু আমার নয়, পুরো গাজার চিত্র।ঘরে ঘরে ক্ষুধার্ত শিশুর কান্না। ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান থেকে ফেলা বোমায় মানুষ মরছে। কিছু সময় পর পর বোমার শব্দ।

শিশুরাও রক্তাক্ত হচ্ছে। তাদের যখন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্সে করে, সেই অ্যাম্বুল্যান্সেও ইসরায়েল বোমা মারছে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ নেই। যেগুলো আছে সেগুলোও নষ্ট হচ্ছে। কারণ বিদ্যুৎ নেই।

হাসপাতালের হিমঘরে থাকা মরদেহগুলো পচতে শুরু করেছে। পশ্চিমা বিশ্ব, পশ্চিমা গণমাধ্যম এগুলো দেখছে না। যে সাংবাদিকরা এসব ধ্বংসযজ্ঞ, করুণ দৃশ্য দেখানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছেন। ইসরায়েল এসব দৃশ্য বিশ্বের কাছ থেকে আড়াল করতে চায়। এ জন্যই তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

কারণ চার্জ দিতে না পারলে একসময় সব মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আর বাইরের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ থাকবে না। এককথায়, আমরা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি । হামাস নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যম অনেক কথা বলছে। হামাসের প্রতিরোধসংগ্রামকে সন্ত্রাস হিসেবে প্রচার করছে। অথচ প্রতিদিনই ইসরায়েলিরা আমাদের মাতৃভূমি কেড়ে নিচ্ছে। আমাদের ওপর নির্বিচারে গুলি ছুড়ছে। প্রতিদিনই কেউ না কেউ হতাহত হচ্ছে ইসরায়েলিদের গুলিতে। তখন তো কেউ সেগুলোকে বর্বরতা বলে না।

বিশ্ব আমাদের সঙ্গে নেই—এ কথা আমরা বলব না। বলব, পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের সঙ্গে নেই। তারাই আমাদের সমস্যা জিইয়ে রেখেছে। আমাদের তিলে তিলে মারছে। এটি এক দিন, এক সপ্তাহ, এক মাস বা এক বছরের চিত্র নয়। যুগ যুগ ধরে চলছে।  লোকজন যখন আশ্রয়ের খোঁজে তুলনামূলক নিরাপদ এলাকার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তখনো তাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ করছে। এবার তারা ঘোষণা দিচ্ছে, স্থল, নৌ ও আকাশপথে হামলা করবে। আমরা যেন গাজা ছেড়ে যাই।

আমরা যাব কোথায়? এটি আমাদের মাতৃভূমি। আমাদের জন্ম এখানে। দখলদাররা আমাদের ভূখণ্ড ছেড়ে যেতে বলছে! এটা অবিশ্বাস্য! এবার ওরা আমাদের বাঁচার শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নিতে চায়। আমাদের গাজার মানচিত্র থেকে পুরোপুরি মুছে ফেলতে চায়