সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচালের জন্য সরকার ও সরকারের পুলিশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে নয়াপল্টনে হামলা চালিয়েছে। গুলি করে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যা করেছে পুলিশ। শতাধিক নেতা–কর্মী আহত করা হয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামসহ শত শত নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাতীয়বাদী শক্তিকে দমন করার জন্য পুলিশি নির্যাতন ও জুলুম অব্যাহত রয়েছে। জুলুম, নির্যাতন বন্ধ না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তি অচিরেই এই অবৈধ সরকারকে উৎখাত করবে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গ্রেপ্তার ও হামলা করে আন্দোলনকে দমানো যাবে না। শত বাধা দিয়েও সরকার ঢাকার গণসমাবেশ বানচাল করতে পারেনি। এই সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। মানুষ রাস্তায় নেমেছে। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না।
আবু বক্কর সিদ্দিক আরও বলেন, ‘অবিলম্বে মির্জা ফখরুলসহ নেতা–কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। না হলে সরকারের পতনে যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, আমরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও তা বাস্তবায়ন করব।’
সমাবেশ ঘিরে আজ বেলা ১১টা থেকে নওগাঁ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির নেতা–কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে এসে জড়ো হন। দুপুর ১২টার দিকে কেডির মোড় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে সেখান থেকে মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে মিছিল না করেই কর্মসূচি শেষ করেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা।