কাতার বিশ্ব কাপের প্রথম ম্যাচে, প্রথমার্ধে গোল পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে পুরোপুরি ম্যাচ নিয়ন্ত্রনে নিয়ে খেলে ব্রাজিল এবং অসাধারণ দুটি গোলও বের করে নেয় তারা। রিচার্লিসনের জোড়া গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে ৪৬তম মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন বার্সা তারকা রাফিনহা। সার্বিয়ার এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নেন তিনি। সামনে ছিলো শুধু গোলরক্ষক। বলটা আলতো টোকা দিলে হয়ে যেতো। কিন্তু তিনি মেরে দেন গোলরক্ষকের শরীরে।
৪৯তম মিনিটে বক্সের সামনে ফ্রি-কিক আদায় করে নেন নেইমার। শট নেন তিনি। কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন সার্ব ডিফেন্ডাররা। কর্নার কিক করেন নেইমার। থিয়াগো সিলভার দুর্দান্ত এক হেড, ঘাড়ে বল লাগিয়ে দলকে রক্ষা করেন সার্ব ডিফেন্ডার।
৫৫ মিনিটে বাম পাশ থেকে বক্সের মধ্যে ক্রস করেন ভিনিসিয়ুস। গোল লক্ষ্যে দুর্দান্ত এক শট নেন নেইমার। কিন্তু দুর্ভাগ্য বলটি চলে যায় সাইড বারের অনেক বাইরে দিয়ে।
৫৮ মিনিটে দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাক ছিল সার্বিয়ার। কর্নারের বিনিময়ে বলকে রক্ষা করেন অ্যালেক্স সান্দ্রো।
৬০ মিনিটে নিশ্চিত গোলবঞ্চিত হলো ব্রাজিল। বক্সের বাইরে প্রায় ৩০ গজ দুর থেকে বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত এক শট নেন আলেক্স সান্দ্রো। কিন্তু বল বামপাশের সাইডবারে লেগে ফিরে আসে।
৬২ মিনিটে গোল করে ব্রাজিল। অনেক কষ্টের পর আসে গোলটি। নেইমার বল নিয়ে ঢুকে পড়েন বক্সের মধ্যে। ডিফন্ডোরের সামনে বাধা পেলে সুযোগ বুঝে গোলে শট নেন ভিনিসিয়ুস। কিন্তু গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন বলটি। ফিরতি বলটিতেই আলতো টোকায় সার্বিয়ার জালে বল জড়িয়ে দেন রিচার্লিসন।
৬৭ মিনিটে আবারও সুযোগ পেয়েছিলো ব্রাজিল। কাউন্টার অ্যাটাকে মাঝ মাঠ থেকে রাফিনহা বল নিয়ে এগিয়ে আসে সার্বিয়ার বক্সের সামনে। ডিফেন্ডার বাধা দিলে সেই বল নিয়ে কয়েক পা এগিয়ে এসে শট নেন ভিনিসিয়ুস। কিন্তু পোস্ট লক্ষ্যে শটটি রাখতে পারেননি তিনি।
৭৩তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল। রিচার্লিসনের এই গোলটি চোখে লেগে থাকার মত। বক্সের বাম প্রান্ত থেকে ডান-পায়ের টোকায় বক্সের মাঝে দাঁড়ানো রিচার্লিসনকে বলটি দেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। রিচার্লিসন প্রথমে বলটি নিয়ন্ত্রনে নেন। হালকা উপরে উঠে যাওয়া বলটিকে একটু সময় নিয়ে অসাধারণ এক বাইসাইকেল কিকে সার্বিয়ার জালে বল জড়ান তিনি।
৭৭ মিনিটে রিচার্লিসনকে তুলে গ্যাব্রিয়েল হেসুসকে মাঠে নামানো হয়। নেইমার হালকা আহত হলে তাকে তুলে নিয়ে মাঠে নামানো অ্যান্তোনিকে। তার আগেই ভিনিসিয়ুসকে তুলে মাঠে নামানো হয় রদ্রিগোকে।
৮১ মিনিটে রাফিনহার কাছ থেকে বল পেয়ে ক্যাসেমিরো শট নেন। কিন্তু বল ডান প্রান্তে পোস্টের কোনায় লেগে ফিরে আসে।৮২তম মিনিটে রদ্রিগো দুর্দান্ত এক শট নেন। কিন্তু গোলরক্ষক ফিরিয়ে দেন সেটি। ৮৩ তম মিনিটে বাম পায়ের দুর্দান্ত এক শট নেন লুকাস পাকুয়েতার পরিবর্তে মাঠে নামা ফ্রেড। কিন্তু গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটি রক্ষা করেন।