ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাম কমেছে পেঁয়াজের, স্বস্তি ক্রেতাদের মাঝে

নিজস্ব প্রতিবেদক:হিলি স্থলবন্দরে পাইকাড়িতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৪ থেকে ৫টাকা করে। একদিন পুর্বেও বন্দরে প্রতি কেজি ইন্দো জাতের পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৩৭টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩২ থেকে ৩৩টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। দাম কমতে শুরু করায় স্বস্তি ফিরেছে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারগনের মাঝে।

হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার মেহেদুল ইসলাম বলেন, পুজার বন্ধের পর বন্দর দিয়ে আমদানি শুরুর পর থেকেই পেঁয়াজের দাম বাড়তি। আগে যে পেঁয়াজ ২২টাকা বিক্রি হয়েছে সেই পেঁয়াজ দাম বাড়তে বাড়তে ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা হয়ে গেছিল। যার কারনে আমরা বন্দর থেকে পেঁয়াজ ক্রয় করে ঢাকা চট্টগ্রামসহ যেসব মোকামে পেঁয়াজ পাঠাতাম সেসব মোকামে ভয়ে আর পেঁয়াজ ক্রয় করছেনা।

একান্তই যাদের প্রয়োজন তারা এক দু ট্রাক করে পেঁয়াজ কিনছিল। কিন্তু আমরা বাড়তি দামের কারনে বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনতেই সাহস পাচ্ছিলামনা। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে রয়েছে এতে করে মোকামগুলো থেকে পেঁয়াজ এর খোজ খবর নিচ্ছেন। অল্প করে পেঁয়াজের ওয়ার্ডার পাচ্ছি দাম যদি আরো কমে তাহলে মোকামে চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি বেচাকেনাও জমে উঠবে।

এছাড়া ভারত থেকে পণ্যবাহি ট্রাক দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনলাইন পদ্ধতি চালু করেছে যার কারনে ট্রাক কম ঢুকছে সেই সাথে ট্রাক প্রতি অনলাইন ফি দিতে হচ্ছে যা পণ্যের উপর গিয়ে পড়ছে। ভারতে বাড়তি দামে পেঁয়াজ ক্রয় করতে হওয়ার কারনে দেশের বাজারেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যে পাইকারগন হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসতেন তারাও তেমন আসছেনা। আবার আসলেও পেঁয়াজ ক্রয়ের পরিমান কমিয়ে দিয়েছেন এতে করে চাহিদা কমার কারনে লোকশান করে হলেও পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এর উপর গরমে পেঁয়াজ পচে নষ্ট হওয়ার আশংকায় অনেকে কম দামেও বিক্রি করে দিচ্ছেন।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন,বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে পেঁয়াজ আমদানির পরিমান আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। শনিবার বন্দর দিয়ে যেখানে ৩৩টি ট্রাকে ৯১৯টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল সেখানে রবিবার ২৭টি ট্রাকে ৭৮৯টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আজ সোমবার বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস

দাম কমেছে পেঁয়াজের, স্বস্তি ক্রেতাদের মাঝে

আপডেট সময় ০৭:০০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:হিলি স্থলবন্দরে পাইকাড়িতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৪ থেকে ৫টাকা করে। একদিন পুর্বেও বন্দরে প্রতি কেজি ইন্দো জাতের পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৩৭টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩২ থেকে ৩৩টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। দাম কমতে শুরু করায় স্বস্তি ফিরেছে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারগনের মাঝে।

হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার মেহেদুল ইসলাম বলেন, পুজার বন্ধের পর বন্দর দিয়ে আমদানি শুরুর পর থেকেই পেঁয়াজের দাম বাড়তি। আগে যে পেঁয়াজ ২২টাকা বিক্রি হয়েছে সেই পেঁয়াজ দাম বাড়তে বাড়তে ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা হয়ে গেছিল। যার কারনে আমরা বন্দর থেকে পেঁয়াজ ক্রয় করে ঢাকা চট্টগ্রামসহ যেসব মোকামে পেঁয়াজ পাঠাতাম সেসব মোকামে ভয়ে আর পেঁয়াজ ক্রয় করছেনা।

একান্তই যাদের প্রয়োজন তারা এক দু ট্রাক করে পেঁয়াজ কিনছিল। কিন্তু আমরা বাড়তি দামের কারনে বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনতেই সাহস পাচ্ছিলামনা। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে রয়েছে এতে করে মোকামগুলো থেকে পেঁয়াজ এর খোজ খবর নিচ্ছেন। অল্প করে পেঁয়াজের ওয়ার্ডার পাচ্ছি দাম যদি আরো কমে তাহলে মোকামে চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি বেচাকেনাও জমে উঠবে।

এছাড়া ভারত থেকে পণ্যবাহি ট্রাক দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনলাইন পদ্ধতি চালু করেছে যার কারনে ট্রাক কম ঢুকছে সেই সাথে ট্রাক প্রতি অনলাইন ফি দিতে হচ্ছে যা পণ্যের উপর গিয়ে পড়ছে। ভারতে বাড়তি দামে পেঁয়াজ ক্রয় করতে হওয়ার কারনে দেশের বাজারেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যে পাইকারগন হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসতেন তারাও তেমন আসছেনা। আবার আসলেও পেঁয়াজ ক্রয়ের পরিমান কমিয়ে দিয়েছেন এতে করে চাহিদা কমার কারনে লোকশান করে হলেও পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এর উপর গরমে পেঁয়াজ পচে নষ্ট হওয়ার আশংকায় অনেকে কম দামেও বিক্রি করে দিচ্ছেন।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন,বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে পেঁয়াজ আমদানির পরিমান আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। শনিবার বন্দর দিয়ে যেখানে ৩৩টি ট্রাকে ৯১৯টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল সেখানে রবিবার ২৭টি ট্রাকে ৭৮৯টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আজ সোমবার বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।