ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁর মান্দায় ভুয়া সিআইডির পরিচয়পত্রে চাঁদাবাজি

হাফিজুর রহমান,তুষার আলম,মাহফুজ জামান

স্টাফ রিপোর্টার:চাঁদা আদায়ের অভিযোগে তিন যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।নওগাঁর মান্দায় রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- জেলার মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম এলাকার হায়দার আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৬), ফয়জুল ইসলামের ছেলে তুষার আলম (২৪) ও বাজিতপুর গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে মাহফুজ জামান (২৯)।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, হাফিজুর রহমান ঢাকা সিআইডিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় মাদক সেবনের অভিযোগে ২০২০ সালে চাকরিচ্যুত হন। এরপর থেকে সিআইডি পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ডোপটেস্টে মাদক সেবন প্রমাণিত হওয়ায় সিআইডি থেকে চাকরিচ্যুত হন তিনি। এরপর থেকে ভুয়া পরিচয়পত্রে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। তার সঙ্গী হন তুষার আলম ও মাহফুজ জামান।

গ্রামের ফ্রিল্যান্সার রতন চন্দ্র সরকার বলেন, অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করার কারণে ১০ দিন আগে হাফিজুর রহমান সিআইডি পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপরও আরও টাকার দাবি করে আসছিলেন। গত কয়েকদিন থেকে একই এলাকার কৌশিক চন্দ্রের কাছেও টাকা দাবি করে আসছিলেন তিনি। টাকা দেওয়ার কথা বলে হাফিজুরকে ফেরিঘাট এলাকায় ডেকে নেওয়া হয়। পরে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।

মান্দা থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদী মাসুদ বলেন, তিন যুবককে ফেরিঘাট এলাকায় স্থানীয়রা টক করে পুলিশে সোপর্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা চাঁদা আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন। পরে মামলা দিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে নেওয়া হয়।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

নওগাঁর মান্দায় ভুয়া সিআইডির পরিচয়পত্রে চাঁদাবাজি

আপডেট সময় ০৫:৩৭:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার:চাঁদা আদায়ের অভিযোগে তিন যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।নওগাঁর মান্দায় রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- জেলার মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম এলাকার হায়দার আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৬), ফয়জুল ইসলামের ছেলে তুষার আলম (২৪) ও বাজিতপুর গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে মাহফুজ জামান (২৯)।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, হাফিজুর রহমান ঢাকা সিআইডিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় মাদক সেবনের অভিযোগে ২০২০ সালে চাকরিচ্যুত হন। এরপর থেকে সিআইডি পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ডোপটেস্টে মাদক সেবন প্রমাণিত হওয়ায় সিআইডি থেকে চাকরিচ্যুত হন তিনি। এরপর থেকে ভুয়া পরিচয়পত্রে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। তার সঙ্গী হন তুষার আলম ও মাহফুজ জামান।

গ্রামের ফ্রিল্যান্সার রতন চন্দ্র সরকার বলেন, অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করার কারণে ১০ দিন আগে হাফিজুর রহমান সিআইডি পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপরও আরও টাকার দাবি করে আসছিলেন। গত কয়েকদিন থেকে একই এলাকার কৌশিক চন্দ্রের কাছেও টাকা দাবি করে আসছিলেন তিনি। টাকা দেওয়ার কথা বলে হাফিজুরকে ফেরিঘাট এলাকায় ডেকে নেওয়া হয়। পরে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।

মান্দা থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদী মাসুদ বলেন, তিন যুবককে ফেরিঘাট এলাকায় স্থানীয়রা টক করে পুলিশে সোপর্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা চাঁদা আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন। পরে মামলা দিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে নেওয়া হয়।