ঢাকা ০২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo ছত্রপতি শিবাজির স্ত্রীর রূপে রাশমিকা মান্দানা Logo রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ইউএনএইচসিআর Logo স্কটল্যান্ডকে ১৮ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে সুপার সিক্সে বাংলাদেশ Logo ঢাবিতে গাছের মগডালে ঝুলছিল যুবকের মরদেহ Logo তুরস্কে হোটেলে ভয়াবহ আগুন, নিহত বেড়ে ৭৬ Logo জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম Logo হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের ‘রেড অ্যালার্ট’ জারির উদ্যোগ সরকারের Logo বিয়ের ওপর থেকে কর প্রত্যাহার করলো সরকার Logo অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে যেকোনো নির্বাচিত সরকার ভালো: মির্জা ফখরুল Logo নওগাঁয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইকরা সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ

ভারতের ওপর নির্ভর করছে অভিন্ন নদীর পানি বন্টন : শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার :   ৫ সেপ্টেম্বর চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরের আগে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা সংকট, তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেছেন তিনি।

তিস্তাসহ অভিন্ন আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি বণ্টন সমস্যা সমাধানের বিষয়টি ভারতের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের ইস্যুটি একটি দীর্ঘস্থায়ী ইস্যু এবং তিস্তা চুক্তিসহ এ সংক্রান্ত চুক্তিগুলো মূলত ভারতের ওপর নির্ভর করছে।

তার ওই সাক্ষাতকারের ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এএনআইয়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে। ভারতীয় সময় আগামীকাল (সোমবার) সকাল ১০টায় ৩৬ মিনিটের ওই ভিডিওটি সম্প্রচার করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, পানি বণ্টনের চুক্তি নিয়ে সবসময়ই সমস্যা হয়েছে। এমনকি তিস্তা নিয়ে এত বছর পরেও কোনো বৈঠক হয়নি। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। সুতরাং এর সমাধান হওয়া উচিত। তবে এটা মূলত ভারতের ওপর নির্ভর করছে।

১৫ আগস্টের কালো অধ্যায় স্মরণ
এই সাক্ষাতকারে ১৫ আগস্টের কালো অধ্যায়ের কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। সেই কালো রাতে পরিবারের সদস্যদের হারান তিনি। সে সময় স্বামীর সঙ্গে জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন শেখ হাসিনা। বিদেশে পাড়ি দেওয়ার আগে ৩০ জুলাই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষ দেখা হয় তার।

এরপর ১৫ আগস্ট সকালেই জীবনের সবচেয়ে খারাপ খবর শোনেন তিনি যা, বিশ্বাস করা ছিল বেশ কঠিন। তিনি জানতে পারেন যে, তার বাবাসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় মিসেস গান্ধী দ্রুত আমার কাছে খবর পাঠান যে, তিনি আমাদের নিরাপত্তা ও আশ্রয় দিতে চান। যুগোশ্লাভিয়ার রাষ্ট্রপতি মার্শাল টিটো এবং মিসেস গান্ধী আমাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার কথা জানান। শেষ পর্যন্ত আমরা ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নেই। কারণ আমাদের মনে হয়েছে, আমরা যদি দিল্লি যাই তবে সেখান থেকে দেশে ফিরতে পারব। এরপর জানতে পারব আমাদের পরিবারের কতজন সদস্য এখনও বেঁচে আছেন।

পরিবার হারানোর পাঁচ দশক পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনও সেই শোক ভুলতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার কণ্ঠেও তারই প্রতিধ্বনি পাওয়া যাচ্ছিল। তিনি বলেন, এটা ছিল খুবই কঠিন একটি সময়।

ট্যাগস

ছত্রপতি শিবাজির স্ত্রীর রূপে রাশমিকা মান্দানা

ভারতের ওপর নির্ভর করছে অভিন্ন নদীর পানি বন্টন : শেখ হাসিনা

আপডেট সময় ০৫:১৬:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার :   ৫ সেপ্টেম্বর চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরের আগে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা সংকট, তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেছেন তিনি।

তিস্তাসহ অভিন্ন আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি বণ্টন সমস্যা সমাধানের বিষয়টি ভারতের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের ইস্যুটি একটি দীর্ঘস্থায়ী ইস্যু এবং তিস্তা চুক্তিসহ এ সংক্রান্ত চুক্তিগুলো মূলত ভারতের ওপর নির্ভর করছে।

তার ওই সাক্ষাতকারের ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এএনআইয়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে। ভারতীয় সময় আগামীকাল (সোমবার) সকাল ১০টায় ৩৬ মিনিটের ওই ভিডিওটি সম্প্রচার করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, পানি বণ্টনের চুক্তি নিয়ে সবসময়ই সমস্যা হয়েছে। এমনকি তিস্তা নিয়ে এত বছর পরেও কোনো বৈঠক হয়নি। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। সুতরাং এর সমাধান হওয়া উচিত। তবে এটা মূলত ভারতের ওপর নির্ভর করছে।

১৫ আগস্টের কালো অধ্যায় স্মরণ
এই সাক্ষাতকারে ১৫ আগস্টের কালো অধ্যায়ের কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। সেই কালো রাতে পরিবারের সদস্যদের হারান তিনি। সে সময় স্বামীর সঙ্গে জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন শেখ হাসিনা। বিদেশে পাড়ি দেওয়ার আগে ৩০ জুলাই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষ দেখা হয় তার।

এরপর ১৫ আগস্ট সকালেই জীবনের সবচেয়ে খারাপ খবর শোনেন তিনি যা, বিশ্বাস করা ছিল বেশ কঠিন। তিনি জানতে পারেন যে, তার বাবাসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় মিসেস গান্ধী দ্রুত আমার কাছে খবর পাঠান যে, তিনি আমাদের নিরাপত্তা ও আশ্রয় দিতে চান। যুগোশ্লাভিয়ার রাষ্ট্রপতি মার্শাল টিটো এবং মিসেস গান্ধী আমাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার কথা জানান। শেষ পর্যন্ত আমরা ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নেই। কারণ আমাদের মনে হয়েছে, আমরা যদি দিল্লি যাই তবে সেখান থেকে দেশে ফিরতে পারব। এরপর জানতে পারব আমাদের পরিবারের কতজন সদস্য এখনও বেঁচে আছেন।

পরিবার হারানোর পাঁচ দশক পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনও সেই শোক ভুলতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার কণ্ঠেও তারই প্রতিধ্বনি পাওয়া যাচ্ছিল। তিনি বলেন, এটা ছিল খুবই কঠিন একটি সময়।