ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাজে ফিরেছেন হবিগঞ্জের ২৪ চা বাগানে শ্রমিকরা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : মজুরি সমস্যা সমাধানের পর কাজে ফিরেছেন হবিগঞ্জের ২৪টি চা বাগানে শ্রমিকরা। সোমবার (২৯ আগস্ট) ভোর থেকে দলে দলে চা বাগানে আসতে শুরু করেন তারা। এতে করে প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে চা বাগানগুলো।

সরেজমিনে দেখা যায়, মজুরি বাড়ায় শ্রমিকদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। বাগানে উৎসাহ নিয়ে কাজ করছেন তারা। সকাল থেকে দারাগাঁও, রশিদপুর, চান্দপুর, ফয়জাবাদসহ জেলার সবগুলো বাগানে কাজ শুরু করেন তারা। এর আগে এতো দিন কাজ ছাড়া থাকেননি শ্রমিকরা। আন্দোলন চলাকালে কাজে না থাকলেও মন পড়েছিল বাগানে।

চা শ্রমিক দাসিয়া দাস বলেন, এখন পাতা তুলতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে। এতদিন ঘরে থেকে আমাদের ভালো লাগেনি। অনেক কষ্ট হয়েছে।

বিজয়া কর্মকার নামের আরেক শ্রমিক বলেন, কাজ বন্ধ থাকলে কী ভালো লাগে? আজ আমরা কাজে আছি আমাদের ভালো লাগছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মজুরি বাড়িয়ে দেওয়ায় তাকে ধন্যবাদ।

ফয়জাবাদ চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি দুলাল সাওতাল বলেন, টানা ১৯ দিন আন্দোলন করে আজ কাজে যোগ দিয়েছি। আনন্দের সঙ্গে কর্মস্থলে ফিরেছেন শ্রমিকরা।

ওই বাগানের ব্যবস্থাপক সৈয়দ গোলাম সাকলাইন বলেন, ইতোমধ্যে বাগানের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করবো যেন একটু বেশি কাজ করিয়ে সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারি।

এর আগে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি করেন শ্রমিকরা। এরপর তারা ১৩ আগস্ট থেকে পূর্নদিবস কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী তাদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিলে সোমবার থেকে তারা পুরোদমে কাজে ফিরে যান।

ট্যাগস

কাজে ফিরেছেন হবিগঞ্জের ২৪ চা বাগানে শ্রমিকরা

আপডেট সময় ১০:১১:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : মজুরি সমস্যা সমাধানের পর কাজে ফিরেছেন হবিগঞ্জের ২৪টি চা বাগানে শ্রমিকরা। সোমবার (২৯ আগস্ট) ভোর থেকে দলে দলে চা বাগানে আসতে শুরু করেন তারা। এতে করে প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে চা বাগানগুলো।

সরেজমিনে দেখা যায়, মজুরি বাড়ায় শ্রমিকদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। বাগানে উৎসাহ নিয়ে কাজ করছেন তারা। সকাল থেকে দারাগাঁও, রশিদপুর, চান্দপুর, ফয়জাবাদসহ জেলার সবগুলো বাগানে কাজ শুরু করেন তারা। এর আগে এতো দিন কাজ ছাড়া থাকেননি শ্রমিকরা। আন্দোলন চলাকালে কাজে না থাকলেও মন পড়েছিল বাগানে।

চা শ্রমিক দাসিয়া দাস বলেন, এখন পাতা তুলতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে। এতদিন ঘরে থেকে আমাদের ভালো লাগেনি। অনেক কষ্ট হয়েছে।

বিজয়া কর্মকার নামের আরেক শ্রমিক বলেন, কাজ বন্ধ থাকলে কী ভালো লাগে? আজ আমরা কাজে আছি আমাদের ভালো লাগছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মজুরি বাড়িয়ে দেওয়ায় তাকে ধন্যবাদ।

ফয়জাবাদ চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি দুলাল সাওতাল বলেন, টানা ১৯ দিন আন্দোলন করে আজ কাজে যোগ দিয়েছি। আনন্দের সঙ্গে কর্মস্থলে ফিরেছেন শ্রমিকরা।

ওই বাগানের ব্যবস্থাপক সৈয়দ গোলাম সাকলাইন বলেন, ইতোমধ্যে বাগানের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করবো যেন একটু বেশি কাজ করিয়ে সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারি।

এর আগে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি করেন শ্রমিকরা। এরপর তারা ১৩ আগস্ট থেকে পূর্নদিবস কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী তাদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিলে সোমবার থেকে তারা পুরোদমে কাজে ফিরে যান।