ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নষ্ট ট্রান্সফরমার নিতে ঘুষ না দেওয়ায় নওগাঁয় প্রায় ৩শ একর জমি ধান পুড়ে যেতে বসেছে

নওগাঁর জোয়ান পুর মাঠে সেচ দিতে না পারায় জমি ফেঠে চৌচির

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: নওগাঁয় পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারীতার অভিযোগ উঠেছে । নষ্ট ট্রান্সফার খুলে আনার পর চাহিদা মতো অর্থ  না দেওয়ায় তা আর ফেরত দিচ্ছে না । এতে সেচ সংকটে প্রায় ৩শ একর জমির ধান পুড়ে নষ্ট হতে চলেছে । ভুক্তভুগীরা সংশ্লিষ্ট দফতরে বারবার ধর্না দিয়ে প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ  করছে ।

 

ভর মওসুমে বৃষ্টি নেই তাই বাড়তি খরচ দিয়ে  গভীর নলকুপ থেকে সেচ নিয়ে রোপা আমন ধান রোপণ করেন মহাদেবপুর জোয়ান পুর এলাকার চাষীরা । কিন্ত গত দু সপ্তাহ আগে হটাৎ সেচ এলাকার গভীর নলকুপের সংযোগ নেওয়া ট্রন্সফরমার বিকল হয় ।

স্থানীয় পল্লী বিদ্যুত অফিসে জানানো হলে বিকল ট্রান্সফরমার টি খুলে নিয়ে যেতে বলে সেখানে । এর পর থেকেই চলে কর্মকর্তাদের বিকল ট্রান্সফরমার প্রদান  নিয়ে নানা টাল বাহানা । নলকুপ অপারেটরের দাবী মোটা অংকের টাকা না দেওয়ায় প্রদান করা হচ্ছে না ট্রান্সফরমার । আর  এদিকে তীব্র খড়ায় সেচের অভাবে  মাঠ ফেটে চৌচির । পুড়ে নষ্ট হতে চলেছে  এসব ধান । কৃষক মাহমুদুল, আফজাল, তফেজ উদ্দিন জানান, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে মাঠের ধান রোপন করি, এরপর এসব ধানে সার প্রয়োগ করার দু দিন পর গভীর নলকূপের্  সেচের ট্রান্সফারটি নষ্ট হয় । ফলে শুকিয়ে যাওয়া মাঠে সার আর গলে না । এতে করে অনেক টাকা গচ্ছা গেলো জানাচ্ছিলেন এসব চাষীরা । আর দু  কৃষক বলছিলেন, যদি আগামী দু চার দিনের মধ্যে এসব মাঠ ফাটা ধানে পানি না দেওয়া যায় তা হলে ফলণ ঘরে তোলা আর যাবে না ।

কৃষকরা দু:চিন্তায় তাদের ফসল নিয়ে

 

বিকল ট্রান্সফরমার খুলে আনার  দু সপ্তাহ  পার হয় । মেরামত বাবদ খরচ প্রদান করে নলকুপ অপারেটর । কিন্ত কর্মকর্তার জন্য বাড়তি অর্থ দাবী করে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভুগী  নলকুপ অপারেটরের । নুলকুপ অপারেটর এস এম মাহমুদুন্নবী ভুট্রো বলেন, আমার কোন বকেয়া নেই । তার পরও বিদ্যুত বিভাগের লোকজন নানা হয়রানী করছে । আমি আমার টাকায় মেরামত করতে চেয়েছি । কিন্ত বিদ্যুত বিভাগের ডিজি এম রবিউল আলম অহেতুক টাল বাহানা করছে । তিনি বলেন বিদ্যুত কর্মকর্তাদের চাহিদা মতো আর্থিক বাড়তি চাহিদা পুরণ না করায় এ জটিলতা তৈর করা হয়েছে ।

দু সপ্তাহ আগে নষ্ট ট্রান্সফরমার খুলে নিয়ে গেছে বিদ্যুত বিভাগ

অবৈধ অর্থদাবীর কথা অস্বীকার করে   বিদ্যুতে বিভাগের কর্মকর্তার দাবী নিয়ম মতো আবেদন না করায় ট্রান্সফরমার টি সরবরাহ করা যাচ্ছে না । মহাদেবপুর পল্লী বিদ্যুত যোনাল অফিস ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: রবিউল আলম বলেন, আবেদন করতে হবে তার পর তাকে দেওয়া হবে ট্রান্সফরমার ।

স্থানীয় কৃষকদের দাবী সময় মতো সেচের অভাবে প্রায় ৩শ একর জমির ফসল হানীর শংকা দেখা দিয়েছে এ মাঠে  ।

 

 

 

 

 

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

নষ্ট ট্রান্সফরমার নিতে ঘুষ না দেওয়ায় নওগাঁয় প্রায় ৩শ একর জমি ধান পুড়ে যেতে বসেছে

আপডেট সময় ০১:৪৮:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: নওগাঁয় পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারীতার অভিযোগ উঠেছে । নষ্ট ট্রান্সফার খুলে আনার পর চাহিদা মতো অর্থ  না দেওয়ায় তা আর ফেরত দিচ্ছে না । এতে সেচ সংকটে প্রায় ৩শ একর জমির ধান পুড়ে নষ্ট হতে চলেছে । ভুক্তভুগীরা সংশ্লিষ্ট দফতরে বারবার ধর্না দিয়ে প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ  করছে ।

 

ভর মওসুমে বৃষ্টি নেই তাই বাড়তি খরচ দিয়ে  গভীর নলকুপ থেকে সেচ নিয়ে রোপা আমন ধান রোপণ করেন মহাদেবপুর জোয়ান পুর এলাকার চাষীরা । কিন্ত গত দু সপ্তাহ আগে হটাৎ সেচ এলাকার গভীর নলকুপের সংযোগ নেওয়া ট্রন্সফরমার বিকল হয় ।

স্থানীয় পল্লী বিদ্যুত অফিসে জানানো হলে বিকল ট্রান্সফরমার টি খুলে নিয়ে যেতে বলে সেখানে । এর পর থেকেই চলে কর্মকর্তাদের বিকল ট্রান্সফরমার প্রদান  নিয়ে নানা টাল বাহানা । নলকুপ অপারেটরের দাবী মোটা অংকের টাকা না দেওয়ায় প্রদান করা হচ্ছে না ট্রান্সফরমার । আর  এদিকে তীব্র খড়ায় সেচের অভাবে  মাঠ ফেটে চৌচির । পুড়ে নষ্ট হতে চলেছে  এসব ধান । কৃষক মাহমুদুল, আফজাল, তফেজ উদ্দিন জানান, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে মাঠের ধান রোপন করি, এরপর এসব ধানে সার প্রয়োগ করার দু দিন পর গভীর নলকূপের্  সেচের ট্রান্সফারটি নষ্ট হয় । ফলে শুকিয়ে যাওয়া মাঠে সার আর গলে না । এতে করে অনেক টাকা গচ্ছা গেলো জানাচ্ছিলেন এসব চাষীরা । আর দু  কৃষক বলছিলেন, যদি আগামী দু চার দিনের মধ্যে এসব মাঠ ফাটা ধানে পানি না দেওয়া যায় তা হলে ফলণ ঘরে তোলা আর যাবে না ।

কৃষকরা দু:চিন্তায় তাদের ফসল নিয়ে

 

বিকল ট্রান্সফরমার খুলে আনার  দু সপ্তাহ  পার হয় । মেরামত বাবদ খরচ প্রদান করে নলকুপ অপারেটর । কিন্ত কর্মকর্তার জন্য বাড়তি অর্থ দাবী করে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভুগী  নলকুপ অপারেটরের । নুলকুপ অপারেটর এস এম মাহমুদুন্নবী ভুট্রো বলেন, আমার কোন বকেয়া নেই । তার পরও বিদ্যুত বিভাগের লোকজন নানা হয়রানী করছে । আমি আমার টাকায় মেরামত করতে চেয়েছি । কিন্ত বিদ্যুত বিভাগের ডিজি এম রবিউল আলম অহেতুক টাল বাহানা করছে । তিনি বলেন বিদ্যুত কর্মকর্তাদের চাহিদা মতো আর্থিক বাড়তি চাহিদা পুরণ না করায় এ জটিলতা তৈর করা হয়েছে ।

দু সপ্তাহ আগে নষ্ট ট্রান্সফরমার খুলে নিয়ে গেছে বিদ্যুত বিভাগ

অবৈধ অর্থদাবীর কথা অস্বীকার করে   বিদ্যুতে বিভাগের কর্মকর্তার দাবী নিয়ম মতো আবেদন না করায় ট্রান্সফরমার টি সরবরাহ করা যাচ্ছে না । মহাদেবপুর পল্লী বিদ্যুত যোনাল অফিস ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: রবিউল আলম বলেন, আবেদন করতে হবে তার পর তাকে দেওয়া হবে ট্রান্সফরমার ।

স্থানীয় কৃষকদের দাবী সময় মতো সেচের অভাবে প্রায় ৩শ একর জমির ফসল হানীর শংকা দেখা দিয়েছে এ মাঠে  ।