স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: নওগাঁয় একটি পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে স্বজনদের দেওয়া মিথ্যা মামলায়।জমি বিবাদে একের পর এক মিথ্যা মামলা সাজিয়ে আর্থিক ও সামাজিক ভাবে ক্ষতি করার অভিযোগ করেছে পরিবার টি ।
নওগাঁ সদর উপজেলার দুবল হাটি পল্লীর এ ঘটনার ভিকটিম শহিদুল ইসলাম মিথ্যা মামলায় ৯ দিন হাজত বাস করেছেন । শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে তার কাগজ পত্র তুলে ধরে দাবী করেন তার কেনা সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করছে তার আপন ভাই ও তার ছেলেরা।বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার থানা সহ স্থানীয় সুধীদের নিয়ে দেন দরবার হয়।সেখানে তাদের অ যৌক্তিক দাবী প্রত্যাক্ষান হয়।আর এ ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ কুট কৌশলের আশ্রয় নেয়।যোগ দেয় গ্রামের কিছু অসৎ ব্যক্তি। শহিদুলের ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মা কে তার বিরুদ্ধে টার্ম কার্ড হিসাবে ব্যবহার করে।
মোকদ্দমার কাগজ পত্র বিশ্লেষনে দেখা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার দুবল হাটি বাজারে কেনা পৌনে দু শতক জমি দীর্ঘ দিন ধরে শহিদুলের দখলে রয়েছে।সম্প্রতি ওই জমিতে শহিদুল দোকান ঘর নির্মান করতে গেলে বাঁধা দেয়, আব্দুস সালাম, নাইম হোসেন, মোছা: সাথী, সবুজ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, শান্ত সহ বেশ ক জন।তারা ওই সম্পত্তির অংশীদার দাবী করে সেখানে ঘর তুলতে দিবে না বলেই শহিদুল ও তার লোকজন কে । এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতেই শহিদুলের প্রতিপক্ষরা ব্যবহার করে তার আপন বৃদ্ধা মা আছিয়া খাতুন কে।শহিদুলের দাবী তার কেনা সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে তার বোন অজুবা, ভাই আব্দুস সালাম কৌশলের আশ্রয় নিয়ে তার মা কে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন বিচার সালিসে তারা জমির কোন হকদার না হয়েও মিথ্যা দাবীকে প্রতিষ্টিত করতে মামলার আশ্রয় নেয়।ঘটনা গত ১৬ জুন শহিদুল ও তার লোকজন কে মারপিট করে তারাই আবার উল্টো ৯ দিন পর কোর্টে মোকদ্দমা দায়ের করে । সেখানে বাদি করে শহিদুলের বৃদ্ধা মা আছিয়া খাতুন কে । এ ঘটনায় উপস্থিত না থাকলেও শহিদুলের বিশ্ব বিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তান মিজানুর রহমান কে আসামী করা হয় বলে অভিযোগ করেন । ঘটনার ৭ দিন আগে থেকে মিজানুর রাজশাহীতে ছিলেন বলে দাবী করেন।মিজানুরের দাবী মিথ্যা মামলা দিয়ে তার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ করতে তার দাদিকে ব্যবহার করছে স্বজনরা ।
এদিকে মায়ের দেওয়া মিথ্যা মামলায় শহিদুল ৯ দিন হাজত বাস করে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর আবারো একই কায়দায় গত ২৭ জুলাই নওগাঁ সদর থানায় মামলা করে বৃদ্ধা আছিয়া খাতুন । আবারো মামলা আসামী করা হয় শহিদুলের পুরো পরিবার কে । শহিদুলের দাবী তার মায়ের বয়স হয়েছে স্বাভাবিক চিন্তা চেতনা কমে এসেছে আর তাকে ভুল বুঝিয়ে তার অপর ভাই ও বোনেরা স্বার্থ উদ্ধারে তাকে ব্যবহার করছে ।
আছিয়া খাতুনের দেওয়া মামলায় দেখা যায়, তার সন্তান শহিদুল সহ দলবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাকে মারপিট করে ফলে সে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।দুটি মামলার এজাহারে একই ধরন উল্লেখ করা হয়
।
এ ব্যাপারে স্থানীয় শতাধিক ব্যাক্তির স্বাক্ষর করা একটি আবেদন প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় দাখিল করে শহিদুল।এতে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবী করেন । জমি সংক্রান্ত বিষয়টিকে কুট কৌশলের অস্ত্র হিসাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে শহিদুল কে ফাঁসানো হচ্ছে ।
বিষয়টি নিয়ে দুবল হাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকলেছার রহমান আযমের কাছে এ প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কয়েক দফা বসে মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি । কিন্ত শহিদুল মানলেও অপর পক্ষ মানতে নারাজ । তারা স্থানীয় বিচার মানতে নারাজ ফলে মামলার দিকে ধাবিত হয়েছেন বলে তিনি জানান ।
মামলা ব্যাপারে মামলার বাদি আছিয়া খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জমির অংশীদার দেওয়া হলে মামলা তুলে নেওয়া হবে । মিথ্যা মামলা ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন মন্তব্য করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে আছিয়া খাতুনের দেওয়া মামলা তদন্ত কারী কর্মকর্তা এস আই আব্দুল মজিদের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, আছিয়া খাতুনের মামলা টি তদন্ত করা হচ্ছে । দোষ না পেলে তদন্তে তা তুলে ধরা হবে।
এদিকে ঘটনার ভিকটিম শহিদুল কে হয়রানী করার অভিযোগে নওগাঁ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ।