স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ নওগাঁয় ধান ও চালের অবৈধ মজুত বন্ধ করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের একাধিক দল।
ধান-চালের অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযানের দ্বিতীয় দিন বুধবার (১ জুন) নওগাঁ সদর, মহাদেবপুর, সাপাহার, পত্নীতলা ও আত্রাই উপজেলায় ২৪টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসন নওগাঁ সূত্রে জানায়, বুধবার (১ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত হোসেন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতী বাজার এলাকায় এসিআই অটো রাইস মিলকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মহাদেবপুর উপজেলা সদর বাজারে অনুমোদন ছাড়া ধান মজুত করায় একটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এদিকে জেলার আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজারে অনুমোদনহীন চারটি চাল বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নওগাঁ সদর উপজেলায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসনাত জাহান খান পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত মামণি অ্যাগ্রো অটোরাইস মিল এবং মফিজ উদ্দিন অটোরাইস মিলে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ধান ও চাল মজুত রাখায় দুটি মামলায় ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পত্নীতলায় অবৈধভাবে চাল মজুত করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১২টি মামলায় ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম।
অবৈধভাবে চাল মজুত, কাগজপত্র সঠিক না থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধে ভাই ভাই ট্রেডার্সকে ৭০ হাজার, সিদ্দিক ট্রেডার্সকে ৫ হাজার, রাকিব ট্রেডার্সকে ৫ হাজার, পাভেল ট্রেডার্সকে ৫ হাজার, মণ্ডল ট্রেডার্সকে ৫ হাজার, জায়েদা ট্রেডার্সকে ৩ হাজার, অনিক ট্রেডার্সকে ৩ হাজার, কুলসুম ট্রেডার্সকে ৩ হাজার, এস এম ট্রেডার্সকে ৫ হাজার, মা-বাবার দোয়া ট্রেডার্সকে ৫ হাজার, তালুকদার অ্যান্ড সন্সকে ২০ হাজার টাকা, অন্য আরও একটি তালুকদার অ্যান্ড সন্সকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে সাপাহার উপজেলা সদরের চালের বাজারে মোবাইল কোর্ট-এর অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আক্তার। এ সময় ৪ জন চাল ব্যবসায়ীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, ধান-চালের মজুত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে প্রশাসন ও খাদ্য অধিদপ্তরের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। কোথাও কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ধান-চালের মজুতের বিষয়ে কোনো অসংগতি পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা যা করা প্রয়োজন তার সবই করা হবে।