ঢাকা ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমবঙ্গে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের মা ও দুই ছেলের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেক্স : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার আক্রা কৃষ্ণনগর পূর্ব মণ্ডল পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

মহেশতলার আক্রাকৃষ্ণনগর পূর্ব মণ্ডল পাড়ার বাসিন্দা গোপাল গায়েনের এই বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে গোপাল গায়েন ওই বাড়িতে থাকেন না। সবজি বিক্রেতা প্রভাস মণ্ডল স্ত্রী সোমা (৪৭) ও দুই সন্তান সাহেব ও রাহুলকে নিয়ে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেখানেই আগুনে পুড়ে দুই সন্তানসহ মারা যান সোমা।

তবে ব্যবসার কাজে রাতে সবজির দোকানে থাকতেন প্রভাস। তাই অগ্নিকাণ্ডের সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। সেসময় প্রভাসের স্ত্রী ও দুই ছেলে ভাড়াবাড়িতে ছিলেন।

রাত ১২টা নাগাদ স্থানীয়রা পোড়া গন্ধ পান। তড়িঘড়ি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন তারা। ততক্ষণে অবশ্য ওই একতলা বাড়ির বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গেছে। এরপর খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন প্রতিবেশীরা। বেশ কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে তারা সোমা এবং তার ছেলে সাহেব ও রাহুলের দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেন।

কীভাবে ওই বাড়িটিতে আগুন লাগে তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রথমে স্থানীয়রা মনে করেছিলেন গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তবে পরে দেখা যায় সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক করছে ঠিকই, তবে সেটি বিস্ফোরণ ঘটেনি। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে দুর্ঘটনা নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে ওই বাড়িটিতে কেউ আগুন লাগিয়েছে, সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ট্যাগস

পশ্চিমবঙ্গে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের মা ও দুই ছেলের মৃত্যু

আপডেট সময় ১১:১৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেক্স : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার আক্রা কৃষ্ণনগর পূর্ব মণ্ডল পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

মহেশতলার আক্রাকৃষ্ণনগর পূর্ব মণ্ডল পাড়ার বাসিন্দা গোপাল গায়েনের এই বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে গোপাল গায়েন ওই বাড়িতে থাকেন না। সবজি বিক্রেতা প্রভাস মণ্ডল স্ত্রী সোমা (৪৭) ও দুই সন্তান সাহেব ও রাহুলকে নিয়ে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেখানেই আগুনে পুড়ে দুই সন্তানসহ মারা যান সোমা।

তবে ব্যবসার কাজে রাতে সবজির দোকানে থাকতেন প্রভাস। তাই অগ্নিকাণ্ডের সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। সেসময় প্রভাসের স্ত্রী ও দুই ছেলে ভাড়াবাড়িতে ছিলেন।

রাত ১২টা নাগাদ স্থানীয়রা পোড়া গন্ধ পান। তড়িঘড়ি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন তারা। ততক্ষণে অবশ্য ওই একতলা বাড়ির বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গেছে। এরপর খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন প্রতিবেশীরা। বেশ কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে তারা সোমা এবং তার ছেলে সাহেব ও রাহুলের দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেন।

কীভাবে ওই বাড়িটিতে আগুন লাগে তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রথমে স্থানীয়রা মনে করেছিলেন গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তবে পরে দেখা যায় সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক করছে ঠিকই, তবে সেটি বিস্ফোরণ ঘটেনি। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে দুর্ঘটনা নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে ওই বাড়িটিতে কেউ আগুন লাগিয়েছে, সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।