ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই দেশটিতে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। আজ সোমবার অভিযানের দ্বাদশতম দিন। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখল করে নিয়েছে রাশিয়ার সেনারা। এতে দেশটির বিভিন্ন নগরীতে হতাহত হয়েছে বহু সংখ্যক মানুষ।
এদিকে, ইউক্রেনের যুদ্ধপরিস্থিতি বিবেচনায় সেখানে মানবিক সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিল রাশিয়ার সবচেয়ে বড় মিত্র চীন। দেশটির রেডক্রস যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে এই সহায়তা পাঠাবে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই ঘোষণা দিয়েছেন।
সংকট নিরসনে আবারও কূটনীতির ওপর জোর দিয়ে ওয়াং ই বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে চীনের বন্ধুত্ব অত্যন্ত শক্ত এবং সহযোগিতার সম্ভাবনাও অনেক বিস্তৃত।”
সোমবার ইউক্রেন সংকটে রাশিয়ার প্রতি নিন্দা জানানোর জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই মানবিক সহায়তার ঘোষণা দিয়ে এসব কথা বললেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে একমাত্র চীনই বিভিন্ন পদক্ষেপে রাশিয়ার সঙ্গে থাকার নজির বহু দিনের। সে হিসেবে চীন বিশ্বের সবচেয় বড় মিত্র রাশিয়ার।
এদিকে, রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনে তাদের সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয়। বরং বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করা, দেশটির নিরস্ত্রিকরণ ও ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি প্রতিহত করার জন্য তিনি এই অভিযান চালাচ্ছেন।
সূত্র: বিবিসি