ঢাকা ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালিতে সংঘর্ষ, ৮ সেনা ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিহত ৫৭

মালির ক্ষমতাসীন সেনা সরকার শুক্রবার তাদের ভূখণ্ড থেকে অবিলম্বে ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহার করতে বলার পর মালির সেনাসদস্যদের ওপর এ হামলা হলো।

২০১২ সালে তুয়ারেগ বিদ্রোহী ও অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মালির উত্তরাঞ্চলের দুই-তৃতীয়াংশ দখল করে নেয়। তখন থেকে দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে লড়াই করছে মালি সরকার।

২০১৩ সালে সশস্ত্র গোষ্ঠীকে মোকাবিলায় মালিতে সেনা মোতায়েন করে সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স। তবে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মরুভূমিতে নতুন করে সংগঠিত হয়ে সেনাবাহিনী ও বেসামরিকদের ওপর নিয়মিত হামলা চালাতে থাকে। বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে তৎপরতা শুরু করে তারা।

সাহেল অঞ্চলে ফ্রান্সের প্রায় ৪ হাজার ৩০০ সেনা রয়েছে। এর মধ্যে মালিতে নিয়োজিত আছেন ২ হাজার ৪০০ জন। ফ্রান্সের তথাকথিত বারখানে বাহিনী চাদ, নাইজার, বুরকিনা ফাসো ও মৌরিতানিয়াতেও মোতায়েন রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্স ও দেশটির আফ্রিকান ও ইউরোপীয় মিত্রদের স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, মালির ক্ষমতাসীন সেনা সরকার ‘বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা’ তৈরি করে রাখায় দেশটিতে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি আর নেই।

এর আগে ডিসেম্বরে রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপের সদস্যদের মোতায়েনের অনুমতি দেওয়ায় ফ্রান্স ও ১৫টি ইউরোপীয় দেশ মালি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছিল। ওয়াগনার গ্রুপের বিরুদ্ধে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, লিবিয়া ও সিরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

ট্যাগস

মালিতে সংঘর্ষ, ৮ সেনা ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিহত ৫৭

আপডেট সময় ০৪:৪০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মালির ক্ষমতাসীন সেনা সরকার শুক্রবার তাদের ভূখণ্ড থেকে অবিলম্বে ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহার করতে বলার পর মালির সেনাসদস্যদের ওপর এ হামলা হলো।

২০১২ সালে তুয়ারেগ বিদ্রোহী ও অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মালির উত্তরাঞ্চলের দুই-তৃতীয়াংশ দখল করে নেয়। তখন থেকে দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে লড়াই করছে মালি সরকার।

২০১৩ সালে সশস্ত্র গোষ্ঠীকে মোকাবিলায় মালিতে সেনা মোতায়েন করে সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স। তবে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মরুভূমিতে নতুন করে সংগঠিত হয়ে সেনাবাহিনী ও বেসামরিকদের ওপর নিয়মিত হামলা চালাতে থাকে। বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে তৎপরতা শুরু করে তারা।

সাহেল অঞ্চলে ফ্রান্সের প্রায় ৪ হাজার ৩০০ সেনা রয়েছে। এর মধ্যে মালিতে নিয়োজিত আছেন ২ হাজার ৪০০ জন। ফ্রান্সের তথাকথিত বারখানে বাহিনী চাদ, নাইজার, বুরকিনা ফাসো ও মৌরিতানিয়াতেও মোতায়েন রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্স ও দেশটির আফ্রিকান ও ইউরোপীয় মিত্রদের স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, মালির ক্ষমতাসীন সেনা সরকার ‘বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা’ তৈরি করে রাখায় দেশটিতে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি আর নেই।

এর আগে ডিসেম্বরে রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপের সদস্যদের মোতায়েনের অনুমতি দেওয়ায় ফ্রান্স ও ১৫টি ইউরোপীয় দেশ মালি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছিল। ওয়াগনার গ্রুপের বিরুদ্ধে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, লিবিয়া ও সিরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।