শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৪৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে চিতলিয়া ইউনিয়নের চিতলিয়া বাজারে (গাজার বাজার) এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
ওই ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে চিতলিয়া ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌকিদার (৪৮), ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ মাদবর (৪০), ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৪৭), সহসভাপতি মকবুল হাওলাদার (৫০), সদস্য হাসেম মাদবর (৪৫), আনোয়ার হাওলাদার (৪০), যুবলীগ নেতা মোশাররফ হাওলাদার (৪৫), আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হাওলাদারসহ (৪৮) বেশ কয়েকজনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার এবং চিতলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার হারুন অর রশিদ হাওলাদারের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর আগেও তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার রাতে হারুন অর রশিদের সমর্থকদের মারধর করেন সালাম হাওলাদারের সমর্থকরা। এ নিয়ে বুধবার সকালে দুই পক্ষর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। খবর পেয়ে পালং মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হারুন অর রশিদ বলেন, সালাম হাওলাদারের সমর্থক লিটন সরদার, আউয়াল সরদার, সৈয়দ সরদার গতকাল রাতে গাজার বাজারে এসে আমার সমর্থক রফিক মৃধাকে মারধর করেছে। আজ সকাল থেকে সালাম হাওলাদারের সমর্থকেরা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তাদের হামলায় আমার অন্তত ২৫ জন সমর্থক আহত হয়েছে। এরমধ্যে তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে সালাম হাওলাদার বলেন, আমার ২০ জন সমর্থক আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত আছি। দুইজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, চিতলিয়া এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিভিন্ন হাসপাতালে আহত রোগীদের নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি।