শরীয়তপুর প্রতিনিধি: জেলাভিত্তিক আঞ্চলিক ইজতেমার অংশ হিসেবে শরীয়তপুরে বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে জেলা ইজতেমা।
৩ দিনব্যাপী এ ইজতেমা সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের ভুচুরা কানার বাজার এলাকায় ১০ একর বিশাল জায়গায় আয়োজন করা হয়েছে। ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য শরীয়তপুর জেলা ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা ময়দানে এসে সমবেত হয়েছেন।
দেশীয় জামাতসহ (নাইজেরিয়া ও শ্রীলংকা) ২টি বিদেশি জামাত এবং ১টি বাকপ্রতিবন্ধীদের জামাত অংশগ্রহণ করেছে শরিয়তপুরের এ ইজতেমায়।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৩ দিনব্যাপী এ ইজতেমা।
শরীয়তপুর জেলার এ ইজতেমার জিম্মাদারের দায়িত্বে থাকা মুরব্বি নুরুজ্জামান ব্যাপারী ও প্রফেসর মিজানুর রহমান জানান, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা তাবলিগের মুরব্বিরা ৩ দিনব্যাপী এ জেলা ইজতেমায় গুরুত্বপূর্ণ দ্বীন ও ঈমানি বয়ান পেশ করবেন। এছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় তাবলিক কাকরাইল মার্কাজ মসজিদ থেকে হজরত মাওলানা বোরহান উদ্দিনের নের্তৃতে একটি জামাত এসেছেন ইজতেমা পরিচালনার জন্য।
পালং ইউনিয়নের ভুচুরা কানার বাজার এলাকার ব্যক্তি মালিকানার প্রায় ১০ একর জায়গা জুড়ে জেলা ইজতেমার মাঠ ও অবকাঠামো তৈরিতে গত ১০ দিন যাবত শতাধিক মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেন।
ইজতেমা মাঠের নিরাপত্তা বিষয়ে জানতে চাইলে পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, ইজতেমাকে সফল করতে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। ইতোমধ্যে ইজতেমায় দুই পর্ব বিশিষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।