ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ Logo ঈদ ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হয়: শাকিব খান Logo যুক্তরাজ্যে গেলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু! Logo নওগাঁ ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা Logo নির্বাচন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন, নয়তো ষড়যন্ত্র বাড়বে: তারেক রহমান Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা

বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে ১০ শতাংশ কোটা বাতিল

বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে ১০ শতাংশ কোটা বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার:  তালিকা থেকে বাদ পড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটে অন্তর্ভুক্তিতে যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কোটা বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে করা রিটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায়ে হাইকোর্ট গেজেট অন্তর্ভুক্ত হয়নি এমন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ১০ শতাংশ কোটা সংক্রান্ত জামুকার বিধান/পরিপত্রটি বাতিল ঘোষণা করেছেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ই এপ্রিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ৬১তম সভা শেষে ১০ শতাংশ কোটা সংক্রান্ত পরিপত্রটি জারি করে। ওই পরিপত্রে বলা হয়, প্রত্যেক উপজেলায় গেজেট অন্তর্ভুক্ত হয়নি এমন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তির জন্য বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় ভাতা-ভোগী সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি তালিকাভুক্ত করা যাবে না।

অথচ ২০১৭ সালে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ‘ক’ তালিকা প্রস্তুত করা হয় এবং ওই তালিকাতে রিট আবেদনকারীরা তালিকাভুক্ত হন। কিন্তু জামুকার ওই সিদ্ধান্তের ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা অনেকেই বাদ পড়ে যান। সে কারণেই ১০ শতাংশ কোটা ভুক্তি সংক্রান্ত ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাভার সদর, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার ‘ক’ তালিকাভুক্ত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট রুল জারি করেন আদালত।

রুলে হাইকোর্ট জামুকার ওই পরিপত্রটি অর্থাৎ বিধানটি কেন বাতিল করা হবে না মর্মে জানতে চেয়েছিলেন। এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল জামুকা ও সংশ্লিষ্টদের। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে জামুকার ১০ শতাংশ কোটা সংক্রান্ত পরিপত্রটি হাইকোর্ট বেআইনি ও অসাংবিধানিক মর্মে ঘোষণা করে রায় দেন।

ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম জানান, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা শুধু বেআইনিই নয় অসাংবিধানিকও। কারণ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১০ শতাংশের কম বা বেশিও হতে পারে। একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকেও তালিকার বাইরে রাখা যেমন বেআইনি, একইভাবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় এমন একজনকেও তালিকাভুক্ত করা বেআইনি।

কিন্তু এধরনের পরিপত্র জারি করার মাধ্যমে জামুকা যাচাই-বাছাই কমিটিকে একটি ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছে। তারা তাদের সুবিধা ও সন্তুষ্টি অনুসারে শুধুমাত্র ১০ শতাংশ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করতে পারবে। কিন্তু এই সংখ্যা এলাকাভেদে অনেক বেশি আবার কোথাও কমও হতে পারে। তাই এ ধরনের সংখ্যানির্ধারণ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ও সংবিধান সমর্থন করে না।

ট্যাগস

বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে ১০ শতাংশ কোটা বাতিল

আপডেট সময় ০৪:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার:  তালিকা থেকে বাদ পড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটে অন্তর্ভুক্তিতে যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কোটা বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে করা রিটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায়ে হাইকোর্ট গেজেট অন্তর্ভুক্ত হয়নি এমন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ১০ শতাংশ কোটা সংক্রান্ত জামুকার বিধান/পরিপত্রটি বাতিল ঘোষণা করেছেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ই এপ্রিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ৬১তম সভা শেষে ১০ শতাংশ কোটা সংক্রান্ত পরিপত্রটি জারি করে। ওই পরিপত্রে বলা হয়, প্রত্যেক উপজেলায় গেজেট অন্তর্ভুক্ত হয়নি এমন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তির জন্য বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় ভাতা-ভোগী সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি তালিকাভুক্ত করা যাবে না।

অথচ ২০১৭ সালে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ‘ক’ তালিকা প্রস্তুত করা হয় এবং ওই তালিকাতে রিট আবেদনকারীরা তালিকাভুক্ত হন। কিন্তু জামুকার ওই সিদ্ধান্তের ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা অনেকেই বাদ পড়ে যান। সে কারণেই ১০ শতাংশ কোটা ভুক্তি সংক্রান্ত ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাভার সদর, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার ‘ক’ তালিকাভুক্ত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট রুল জারি করেন আদালত।

রুলে হাইকোর্ট জামুকার ওই পরিপত্রটি অর্থাৎ বিধানটি কেন বাতিল করা হবে না মর্মে জানতে চেয়েছিলেন। এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল জামুকা ও সংশ্লিষ্টদের। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে জামুকার ১০ শতাংশ কোটা সংক্রান্ত পরিপত্রটি হাইকোর্ট বেআইনি ও অসাংবিধানিক মর্মে ঘোষণা করে রায় দেন।

ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম জানান, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা শুধু বেআইনিই নয় অসাংবিধানিকও। কারণ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১০ শতাংশের কম বা বেশিও হতে পারে। একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকেও তালিকার বাইরে রাখা যেমন বেআইনি, একইভাবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় এমন একজনকেও তালিকাভুক্ত করা বেআইনি।

কিন্তু এধরনের পরিপত্র জারি করার মাধ্যমে জামুকা যাচাই-বাছাই কমিটিকে একটি ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছে। তারা তাদের সুবিধা ও সন্তুষ্টি অনুসারে শুধুমাত্র ১০ শতাংশ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করতে পারবে। কিন্তু এই সংখ্যা এলাকাভেদে অনেক বেশি আবার কোথাও কমও হতে পারে। তাই এ ধরনের সংখ্যানির্ধারণ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ও সংবিধান সমর্থন করে না।