ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন Logo চিন্ময়কে মুক্তি না দিলে সীমান্ত অবরোধের হুমকি বিজেপির Logo কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায়, অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত Logo ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ৬ Logo কারাগার থেকে বিএসএস পরীক্ষার নেওয়ার অনুমতি পেলেন রাজবাড়ীর সাবেক মেয়র Logo মাত্র ৭ রানে করেই অলআউট, টি-টোয়েন্টিতে লজ্জার বিশ্বরেকর্ড Logo যোগ্য মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি Logo রাজধানীতে ফের ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ Logo সাবেক আইজিপি মামুন ফের ৩ দিনের রিমান্ডে Logo গুগল ম্যাপ দেখে চলতে গিয়ে নির্মাণাধীন একটি সেতু থেকে গাড়ি পড়ল নদীতে, নিহত ৩

পরীমনি নিজেই বানিয়েছেন জন্মদিনের পোশাক

বিনোদন ডেক্স : ২৯ বসন্ত পার করে ৩০–এ পা রাখলেন পরীমনি। শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে জন্মদিন উদযাপন করেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবার এই নায়িকার জন্মদিন উদযাপনের উচ্ছ্বাস ছাড়িয়ে গেছে সব অতীত। আয়োজনের অভিনবত্বেও ছিল নতুনত্ব।

এ দিন অতিথিদের সামনে পরীমনি হাজির হয়েছিলেন বিমানবালার পোশাকে। নেটিজেনদের আলোচনা-সমালোচনায় বড় জায়গা করে নিয়েছে এই পোশাক। কারণ শরীরের ঊর্ধ্বাংশের পোশাক বিমানবালার হলেও নিম্নাংশের পোশাক তেমন ছিল না। যদিও অনুষ্ঠানস্থল সাজানো হয়েছিল বিমানের ককপিটের আদলে।

শরীরের নিম্নাংশের পোশাক নিয়েই বেশি ট্রলের শিকার হচ্ছেন পরীমনি। কেউ পোশাকটিকে বলছেন লুঙ্গি, কেউ বলছেন ধুতি। তবে যে যাই বলুক পোশাকে যে ফিউশন ঘটানো হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। এই পোশাকের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায় ভারতের তামিল অধিবাসীদের লুঙ্গির সঙ্গে।

স্থানীয় ভাষায় যাকে বলে ভেশতি। পোশাকটি পরার ধরন কেরালার পুরুষদের লুঙ্গির ধরনের সঙ্গে মেলে। কেরালার পুরুষরা লুঙ্গির কাপড়ের নিচের অংশ ভাঁজ করে গুটিয়ে নিয়ে কোমরে বাঁধেন। পরীমনিও এ দিন এভাবে পোশাকের নিচের অংশ গুটিয়ে কোমরে বেঁধেছিলেন। অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের স্থানীয় ঘাগড়া দেখতেও অনেকটা লুঙ্গির মতো।

তবে বিমানবালাদের জন্য প্রচলিত পোশাক সম্পর্কে কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক একটি নিবন্ধে বলেছেন: ‘বিমানবালাদের আকাশে উড্ডীয়মান পোশাক যেটা সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের সাথে একেবারে বেমানান। এমনকি বিদেশে উড্ডীয়মান বাংলাদেশী বিমানবালার জন্যেও বেমানান। কারণ এই পোশাক আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করে না।’

ফলে স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়, পরীমনি জন্মদিনে যে পোশাক পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তা আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করে না। অবশ্য জন্মদিনে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে এমন পোশাক পরতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এমন পোশাকের ধারণা পরীমনি পেলেন কীভাবে?

এ প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, ‘বার্থ ডের ড্রেস আমি নিজেই পছন্দ করেছি। এটার আলাদা কোনো নাম নেই। কোনো ডিজাইনারও পোশাকটি বানায়নি। অনুষ্ঠানটি ঘরোয়া ছিল, তাছাড়া আমি তো আর সত্যি সত্যি ককপিটে বসে ফ্লাই করবো না। যে কারণে পোশাকের ক্ষেত্রেও কোনো রুলস মেনে করা হয়নি। জাস্ট পছন্দ হয়েছে পরেছি।’

ট্যাগস

ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

পরীমনি নিজেই বানিয়েছেন জন্মদিনের পোশাক

আপডেট সময় ০৫:১৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অক্টোবর ২০২১

বিনোদন ডেক্স : ২৯ বসন্ত পার করে ৩০–এ পা রাখলেন পরীমনি। শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে জন্মদিন উদযাপন করেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবার এই নায়িকার জন্মদিন উদযাপনের উচ্ছ্বাস ছাড়িয়ে গেছে সব অতীত। আয়োজনের অভিনবত্বেও ছিল নতুনত্ব।

এ দিন অতিথিদের সামনে পরীমনি হাজির হয়েছিলেন বিমানবালার পোশাকে। নেটিজেনদের আলোচনা-সমালোচনায় বড় জায়গা করে নিয়েছে এই পোশাক। কারণ শরীরের ঊর্ধ্বাংশের পোশাক বিমানবালার হলেও নিম্নাংশের পোশাক তেমন ছিল না। যদিও অনুষ্ঠানস্থল সাজানো হয়েছিল বিমানের ককপিটের আদলে।

শরীরের নিম্নাংশের পোশাক নিয়েই বেশি ট্রলের শিকার হচ্ছেন পরীমনি। কেউ পোশাকটিকে বলছেন লুঙ্গি, কেউ বলছেন ধুতি। তবে যে যাই বলুক পোশাকে যে ফিউশন ঘটানো হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। এই পোশাকের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায় ভারতের তামিল অধিবাসীদের লুঙ্গির সঙ্গে।

স্থানীয় ভাষায় যাকে বলে ভেশতি। পোশাকটি পরার ধরন কেরালার পুরুষদের লুঙ্গির ধরনের সঙ্গে মেলে। কেরালার পুরুষরা লুঙ্গির কাপড়ের নিচের অংশ ভাঁজ করে গুটিয়ে নিয়ে কোমরে বাঁধেন। পরীমনিও এ দিন এভাবে পোশাকের নিচের অংশ গুটিয়ে কোমরে বেঁধেছিলেন। অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের স্থানীয় ঘাগড়া দেখতেও অনেকটা লুঙ্গির মতো।

তবে বিমানবালাদের জন্য প্রচলিত পোশাক সম্পর্কে কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক একটি নিবন্ধে বলেছেন: ‘বিমানবালাদের আকাশে উড্ডীয়মান পোশাক যেটা সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের সাথে একেবারে বেমানান। এমনকি বিদেশে উড্ডীয়মান বাংলাদেশী বিমানবালার জন্যেও বেমানান। কারণ এই পোশাক আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করে না।’

ফলে স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়, পরীমনি জন্মদিনে যে পোশাক পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তা আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করে না। অবশ্য জন্মদিনে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে এমন পোশাক পরতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এমন পোশাকের ধারণা পরীমনি পেলেন কীভাবে?

এ প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, ‘বার্থ ডের ড্রেস আমি নিজেই পছন্দ করেছি। এটার আলাদা কোনো নাম নেই। কোনো ডিজাইনারও পোশাকটি বানায়নি। অনুষ্ঠানটি ঘরোয়া ছিল, তাছাড়া আমি তো আর সত্যি সত্যি ককপিটে বসে ফ্লাই করবো না। যে কারণে পোশাকের ক্ষেত্রেও কোনো রুলস মেনে করা হয়নি। জাস্ট পছন্দ হয়েছে পরেছি।’