ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“মি মোর” ব্যাখ্যা দিলেন পরীমনি

বিনোদন ডেক্সঃ ফের আলোচনায় চিত্রনায়িকা পরীমনি। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে হাজির হন তিনি। এ সময় গাড়িতে থেকেই তিনি হাত উঁচিয়ে ভক্তদের অভিবাদন জানান।

তখনই তার হাতের তালুতে লেখা একটি বার্তা নজরে আসে সবার। পরীমনির এমন ‘রহস্যময়’ বার্তা এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। যেখানে তিনি লিখেছেন ‘ …ক মি মোর’।

এই নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে পরীমনিকে এনেছে এই বার্তা। কেন লিখেছেন, কী অর্থ- এসব নিয়ে মেতেছেন নেটিজেনরা।

এবারের বার্তাটি নিয়ে পরীমনি বলেন, “আমার কষ্ট লাগছে এখন। অনেকেই আমার বার্তাটি ঠিক বুঝতে পারছেন না, ভুল বুঝছেন। সবাই ভাবছেন আমি লিখেছি ‘লাভ মি মোর’। আসলে তো আমি লিখেছি ‘…ক (গালি) মি মোর’।”

কিন্তু কেন এই বার্তা? এখন তো সবই আপনার অনুকূলে। কার উদ্দেশে এটি বলেছেন? জবাবে পরীমনি বলেন, যারা আমার জীবন নিয়ে খেলতে চায় বা ঘাঁটাতে আসে, তাদের সবাইকে আমি ওয়েলকাম করছি। আসো। ওয়েলকাম। আমি প্রস্তুত তোমাদের সঙ্গে এই খেলায় অংশ নিতে। দম যত দিন আছে, আমি শেষ অবধি এই খেলায় লড়ে যাব।

এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন পরীমনি। তখনো তিনি হাতের তালুতে মেহেদি দিয়ে একটি বার্তা লিখেছিলেন। সেটি ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ।’ ওই বার্তা নিয়েও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল।

পরী জানান, যারা তার সামনে এক রকম, কিন্তু পেছনে আরেক রকম; তাদের জন্যই কথাটি লিখেছিলেন তিনি।

গত ৪ আগস্ট ‘সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে’ অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। ওই দিনই রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র‍্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র‍্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে বনানী থানার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর র‍্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। এরপর তাকে আদালতে হাজির করলে প্রথমে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে আরো দুই দফায় তিন দিনের রিমান্ডে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এ জন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরো অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন। ২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করা পরীমনি এ পর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমনিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

“মি মোর” ব্যাখ্যা দিলেন পরীমনি

আপডেট সময় ০৭:০৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিনোদন ডেক্সঃ ফের আলোচনায় চিত্রনায়িকা পরীমনি। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে হাজির হন তিনি। এ সময় গাড়িতে থেকেই তিনি হাত উঁচিয়ে ভক্তদের অভিবাদন জানান।

তখনই তার হাতের তালুতে লেখা একটি বার্তা নজরে আসে সবার। পরীমনির এমন ‘রহস্যময়’ বার্তা এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। যেখানে তিনি লিখেছেন ‘ …ক মি মোর’।

এই নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে পরীমনিকে এনেছে এই বার্তা। কেন লিখেছেন, কী অর্থ- এসব নিয়ে মেতেছেন নেটিজেনরা।

এবারের বার্তাটি নিয়ে পরীমনি বলেন, “আমার কষ্ট লাগছে এখন। অনেকেই আমার বার্তাটি ঠিক বুঝতে পারছেন না, ভুল বুঝছেন। সবাই ভাবছেন আমি লিখেছি ‘লাভ মি মোর’। আসলে তো আমি লিখেছি ‘…ক (গালি) মি মোর’।”

কিন্তু কেন এই বার্তা? এখন তো সবই আপনার অনুকূলে। কার উদ্দেশে এটি বলেছেন? জবাবে পরীমনি বলেন, যারা আমার জীবন নিয়ে খেলতে চায় বা ঘাঁটাতে আসে, তাদের সবাইকে আমি ওয়েলকাম করছি। আসো। ওয়েলকাম। আমি প্রস্তুত তোমাদের সঙ্গে এই খেলায় অংশ নিতে। দম যত দিন আছে, আমি শেষ অবধি এই খেলায় লড়ে যাব।

এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন পরীমনি। তখনো তিনি হাতের তালুতে মেহেদি দিয়ে একটি বার্তা লিখেছিলেন। সেটি ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ।’ ওই বার্তা নিয়েও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল।

পরী জানান, যারা তার সামনে এক রকম, কিন্তু পেছনে আরেক রকম; তাদের জন্যই কথাটি লিখেছিলেন তিনি।

গত ৪ আগস্ট ‘সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে’ অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। ওই দিনই রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র‍্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র‍্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে বনানী থানার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর র‍্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। এরপর তাকে আদালতে হাজির করলে প্রথমে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে আরো দুই দফায় তিন দিনের রিমান্ডে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এ জন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরো অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন। ২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করা পরীমনি এ পর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমনিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ।