ক্রীড়া ডেক্স : সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ধ্রুবতারা। যাদের আলোয় উদ্ভাসিত দেশের ক্রিকেট। সেই মশাল এখন আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, শরিফুল ইসলামদের হাতে। উত্তরসূরী হিসেবে তারাই এগিয়ে নিচ্ছে লাল-সবুজের পতাকাকে।
সম্প্রতি দেশে ও বাইরে তরুণ ক্রিকেটাররা সিনিয়রদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারফর্ম করেছে। দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছে। রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
নিজেদের সামর্থ্য বড় মঞ্চে দেখানোয় তরুণদের স্তুতিতে ভাসিয়েছেন সিনিয়ররা। দলের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান মনে করেন, তরুণরা তাদের থেকেও এগিয়ে আছেন। কেন, সেই উত্তরটাও দিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
তার মতে,‘নতুন যারা এসেছে বয়স কম হলেও ওরা অনেক বেশি পরিপক্ক। অন্তত আমাদের চেয়ে পরিপক্ক। বিপিএল খেলার কারণে অনেক চাপ নিয়ে অভ্যস্ত।
এই কারণে যখন ওরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামে, ওই চাপ নিয়ে অভ্যস্ত থাকে। ওরা যখন আসে, তখন ওরা জানে কি কি পরিস্থিতির সামনে ওদের পড়তে হবে।’
নির্দিষ্ট কারো নাম আলাদা করে বলতে চাইলেন না সাকিব,‘সবাই অনেক প্রতিভাবান। সবার মধ্যেই সম্ভাবনা আছে অনেক ভালো করার। আমি দুই একজনের নাম নিতে চাই না।
যারা দলে সুযোগ পেয়েছে, তারা যোগ্য বলেই সুযোগ পেয়েছে। প্রতিভাবান বলেই তারা দলে আসছে। সবারই সম্ভাবনা আছে অনেক ভালো কিছু করার।’
সামনেই আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সম্প্রতি যে ধারাবাহিকতা বাংলাদেশ দেখিয়েছে এবং জুনিয়র ও সিনিয়ররা যেভাবে অবদান রেখেছে তাতে বিশ্বকাপে ভালো করতে আত্মবিশ্বাসী সাকিব,‘স্বাভাবিক ভাবে সব দলে সব সময় নতুন, পুরনোদের একটা কম্বিনেশন থাকে।
সব সময় সবার অবদান থাকলেই কেবল ম্যাচ জেতা যায়। সবাই এখন অবদান রাখছে বলেই ম্যাচ জিততে পারছে। এটা ভালো একটা দিক। আশা করবো, এই ধারবাহিকতা যেন বিশ্বকাপ পর্যন্ত থাকে। যেন আমরা বিশ্বকাপেও ভালো করতে পারি।’