ঢাকা ০৮:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করলো ইংল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক : প্রথম দুই ওয়ানডেতে দুইশও করতে পারেনি। এবার ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩৩১। মনে হচ্ছিল, নিদেনপক্ষে স্বান্তনার জয়টা পাবে পাকিস্তান। সেটাও ভাগ্যে জুটল না।

বার্মিংহামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে পাহাড়সম পুঁজি নিয়েও বোলিং ব্যর্থতায় হারতে হয়েছে বাবর আজমের দলকে।

৩ উইকেট আর ২ ওভার হাতে রেখেই ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ফেলেছে দ্বিতীয় সারির ইংল্যান্ড দল। সিরিজের তিন ম্যাচই জিতে পাকিস্তানকে তারা ডুবিয়েছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায়।

রান তাড়ায় নেমে বরাবরের মতো ঝড়ো সূচনা করে ইংল্যান্ড। শুরুতেই হাসান আলির শিকার হয়ে ডেভিড মালান (০) ফিরলেও তাতে ভ্রুক্ষেপ ছিল না স্বাগতিকদের।

ফিল সল্ট আর জ্যাক ক্রলি চালিয়ে খেলে ৬ ওভারেই দলকে পৌঁছে দেন ৫৩ রানে। ২২ বলে ৩৭ রানের ঝড় তুলে সল্ট হন হারিস রউফের শিকার। ৩৪ বলে ৩৯ করা ক্রলিকেও বোল্ড করেন এই পেসারই।

কিন্তু ইংল্যান্ডের আগ্রাসী মনোভাব তাতে আটকানো যায়নি। ২০ ওভার হতেই ১৫১ রান তুলে ফেলে বেন স্টোকসের দল।

স্টোকস ২৮ বলে ৩২ করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর জন সিম্পসনকেও (৩) এলবিডব্লিউ করে পাকিস্তানকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন লেগস্পিনার শাদাব খান। ১৬৫ রানে ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

সেখান থেকে জেমস ভিন্স আর লুইস গ্রেগরির ষষ্ঠ উইকেটে ১২৯ রানের ম্যাচ জেতানো জুটি। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে জয়ের নায়ক হয়ে যান জেমস ভিন্স।

৯৫ বলে ১১ বাউন্ডারিতে ১০২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান যখন হারিস রউফের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন, ইংলিশদের তখন ৪৩ বলে দরকার মাত্র ৩৮।

এরপর গ্রেগরিকেও (৬৯ বলে ৬ চার, ৩ ছক্কায় ৭৭) আউট করেছেন রউফ (৬৫ রানে শিকার ৪ উইকেট)। কিন্তু তাতে আর লাভ হয়নি। ক্রেইগ ওভারটন (১৫ বলে ১৮) আর ব্রাইডন কার্সে (১১ বলে ১২) মিলে হেসেখেলেই বাকি কাজটা সেরেছেন।

এর আগে ‘মান বাঁচানোর লড়াইয়ে’ অধিনায়ক বাবর আজমের ক্যারিয়ারসেরা ১৫৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেটে ৩৩১ রানের পাহাড় গড়েছিল পাকিস্তান। ।

বার্মিংহামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এবারও শুরুতে ধাক্কা খেয়েছিল সফরকারিরা। ফাখর জামান ৬ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন, ২১ রানে প্রথম উইকেট হারায় দলটি।

সেখান থেকে ইমাম উল হক আর বাবর আজম পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়েছেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৯২ রানের জুটি গড়েন তারা। ইমাম কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিং করলেও এই জুটিটি পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছে।

৭৩ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৫৬ রান করে ফেরেন ইমাম। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটি গড়েন বাবর। এই যুগল ২০ ওভার একসঙ্গে থেকে যোগ করেন ১৭৯ রান। পাকিস্তানও চলে আসে তিনশর দ্বারপ্রান্তে।

৫৮ বলে ৪ চারের সাহায্যে ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে রিজওয়ান যখন ফিরেছেন, পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৯২।

এরপর অবশ্য দ্রুত রান তুলতে গিয়ে বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়েছে সফরকারিরা। ২৬ রানে শেষ ৬ উইকেটের পতন ঘটে পাকিস্তানের।

শোয়েব মাকসুদ (৫ বলে ৮), প্রমোশন পেয়ে ছয় নম্বরে আসা হাসান আলি (২ বলে ৪), ফাহিম আশরাফরা (৪ বলে ১০) ঝড় তুলতে গিয়ে দ্রুতই সাজঘরের পথ ধরেছেন। গোল্ডেন ডাকে ফেরেন শাদাব খান।

তবে একটা প্রান্ত ধরে বাবর আজম দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, দারুণ সব চোখ ধাঁধানো শটে। পাকিস্তান অধিনায়কের ক্যারিয়ারসেরা ক্লাসিক্যাল ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত থেমেছে ৪ বল বাকি থাকতে।

১৩৯ বলে ১৪ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় ১৫৮ রান করে ব্রাইডন কারসের ডেলিভারিতে টপএজ হয়েছেন বাবর। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি।

ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল কারসেই। ডানহাতি এই পেসার ১০ ওভারে ৬১ রান খরচ করলেও নিয়েছেন ৫টি উইকেট। ৩ উইকেট সাকিব মাহমুদের।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করলো ইংল্যান্ড

আপডেট সময় ১১:২৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : প্রথম দুই ওয়ানডেতে দুইশও করতে পারেনি। এবার ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩৩১। মনে হচ্ছিল, নিদেনপক্ষে স্বান্তনার জয়টা পাবে পাকিস্তান। সেটাও ভাগ্যে জুটল না।

বার্মিংহামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে পাহাড়সম পুঁজি নিয়েও বোলিং ব্যর্থতায় হারতে হয়েছে বাবর আজমের দলকে।

৩ উইকেট আর ২ ওভার হাতে রেখেই ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ফেলেছে দ্বিতীয় সারির ইংল্যান্ড দল। সিরিজের তিন ম্যাচই জিতে পাকিস্তানকে তারা ডুবিয়েছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায়।

রান তাড়ায় নেমে বরাবরের মতো ঝড়ো সূচনা করে ইংল্যান্ড। শুরুতেই হাসান আলির শিকার হয়ে ডেভিড মালান (০) ফিরলেও তাতে ভ্রুক্ষেপ ছিল না স্বাগতিকদের।

ফিল সল্ট আর জ্যাক ক্রলি চালিয়ে খেলে ৬ ওভারেই দলকে পৌঁছে দেন ৫৩ রানে। ২২ বলে ৩৭ রানের ঝড় তুলে সল্ট হন হারিস রউফের শিকার। ৩৪ বলে ৩৯ করা ক্রলিকেও বোল্ড করেন এই পেসারই।

কিন্তু ইংল্যান্ডের আগ্রাসী মনোভাব তাতে আটকানো যায়নি। ২০ ওভার হতেই ১৫১ রান তুলে ফেলে বেন স্টোকসের দল।

স্টোকস ২৮ বলে ৩২ করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর জন সিম্পসনকেও (৩) এলবিডব্লিউ করে পাকিস্তানকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন লেগস্পিনার শাদাব খান। ১৬৫ রানে ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

সেখান থেকে জেমস ভিন্স আর লুইস গ্রেগরির ষষ্ঠ উইকেটে ১২৯ রানের ম্যাচ জেতানো জুটি। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে জয়ের নায়ক হয়ে যান জেমস ভিন্স।

৯৫ বলে ১১ বাউন্ডারিতে ১০২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান যখন হারিস রউফের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন, ইংলিশদের তখন ৪৩ বলে দরকার মাত্র ৩৮।

এরপর গ্রেগরিকেও (৬৯ বলে ৬ চার, ৩ ছক্কায় ৭৭) আউট করেছেন রউফ (৬৫ রানে শিকার ৪ উইকেট)। কিন্তু তাতে আর লাভ হয়নি। ক্রেইগ ওভারটন (১৫ বলে ১৮) আর ব্রাইডন কার্সে (১১ বলে ১২) মিলে হেসেখেলেই বাকি কাজটা সেরেছেন।

এর আগে ‘মান বাঁচানোর লড়াইয়ে’ অধিনায়ক বাবর আজমের ক্যারিয়ারসেরা ১৫৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেটে ৩৩১ রানের পাহাড় গড়েছিল পাকিস্তান। ।

বার্মিংহামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এবারও শুরুতে ধাক্কা খেয়েছিল সফরকারিরা। ফাখর জামান ৬ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন, ২১ রানে প্রথম উইকেট হারায় দলটি।

সেখান থেকে ইমাম উল হক আর বাবর আজম পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়েছেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৯২ রানের জুটি গড়েন তারা। ইমাম কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিং করলেও এই জুটিটি পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছে।

৭৩ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৫৬ রান করে ফেরেন ইমাম। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটি গড়েন বাবর। এই যুগল ২০ ওভার একসঙ্গে থেকে যোগ করেন ১৭৯ রান। পাকিস্তানও চলে আসে তিনশর দ্বারপ্রান্তে।

৫৮ বলে ৪ চারের সাহায্যে ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে রিজওয়ান যখন ফিরেছেন, পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৯২।

এরপর অবশ্য দ্রুত রান তুলতে গিয়ে বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়েছে সফরকারিরা। ২৬ রানে শেষ ৬ উইকেটের পতন ঘটে পাকিস্তানের।

শোয়েব মাকসুদ (৫ বলে ৮), প্রমোশন পেয়ে ছয় নম্বরে আসা হাসান আলি (২ বলে ৪), ফাহিম আশরাফরা (৪ বলে ১০) ঝড় তুলতে গিয়ে দ্রুতই সাজঘরের পথ ধরেছেন। গোল্ডেন ডাকে ফেরেন শাদাব খান।

তবে একটা প্রান্ত ধরে বাবর আজম দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, দারুণ সব চোখ ধাঁধানো শটে। পাকিস্তান অধিনায়কের ক্যারিয়ারসেরা ক্লাসিক্যাল ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত থেমেছে ৪ বল বাকি থাকতে।

১৩৯ বলে ১৪ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় ১৫৮ রান করে ব্রাইডন কারসের ডেলিভারিতে টপএজ হয়েছেন বাবর। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি।

ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল কারসেই। ডানহাতি এই পেসার ১০ ওভারে ৬১ রান খরচ করলেও নিয়েছেন ৫টি উইকেট। ৩ উইকেট সাকিব মাহমুদের।