ক্রীড়া ডেস্ক : বিশ্বের নানান টি-টোয়েন্টি লিগে যতই আক্রমণাত্মক ফর্ম থাকুক না কেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের হয়ে হাসতে ভুলে গিয়েছিল ক্রিস গেইলের ব্যাট। ২০১৯ সালের আগস্টে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সবশেষ ফিফটি পেরিয়েছিলেন দ্য ইউনিভার্স বস।
এরপর খেলা ৯ টি-টোয়েন্টিতে তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ মাত্র ৩২ রান। বাকি ৮ ম্যাচে একবারও ২০ রান পার করতে পারেননি তিনি। অবশেষে মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে হাসল ইউনিভার্স বসের ব্যাট, দেখা মিলল ৩৮ বলে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংসের।
গেইলের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটিতে ভর করেই অস্ট্রেলিয়ার করা ১৪১ রানের সংগ্রহ মাত্র ১৪.৫ ওভারেই টপকে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অবধারিতভাবেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন গেইল। এই ইনিংস খেলার পথে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ১৪ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছেন তিনি।
বর্তমানে ৪৩১ টি-টোয়েন্টিতে ২২ সেঞ্চুরি ও ৮৭ ফিফটিতে গেইলের সংগ্রহ ১৪ হাজার ৩৮ রান। যা সন্দেহাতীতভাবেই এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৭৫* রানের রেকর্ডটাও তার দখলে। মূলত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রায় সব রেকর্ডই তার দখলে।
তবে আর বেশিদিন হয়তো ব্যাট হাতে বোলারদের তুলোধুনো করতে দেখা যাবে না গেইলকে। কেননা আগামী সেপ্টেম্বরেই তার বয়সের কাঁটা ছুঁয়ে ফেলবে ৪২-র ঘর। এরপর আর কতদিন ক্রিকেট খেলবেন, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। তাই সবাইকে তার নিজের ব্যাটিং উপভোগ করার পরামর্শই দিলেন গেইল।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ জিতিয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গেইল বলেছেন, ‘আমার মূল মনোযোগ (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের দিকে। ক্রিস গেইল, যার শিগগিরই ৪২ বছর হবে, রান না পেলে সংখ্যার দিকে তাকাবেন না। গেইলকে এখনও মাঠে দেখতে পারায় আপনাদের খুশি হওয়া উচিত।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আশা করছি, যত বেশি দিন সম্ভব খেলে যাবে গেইল। সেই সময়টা উপভোগ করুন। ধারাভাষ্যকারদের বলব, পরিসংখ্যান নিয়ে আসবেন না যে কতদিন পর ফিফটি কর গেইল। ইউনিভার্স বসলে শুধু সম্মান করুন। তাকে ক্রিকেট খেলতে দিন, মজা করতে দিন। ক্রিস গেইলের সঙ্গে থামা সময়টা উপভোগ করুন।’