স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ নওগাঁ সদর হাসপাতালে রোগীরা লিকুইড অক্সিজেন সেবা পেতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকাল থেকে এ সেবা চালু হয়েছে। এই হাসপাতালে একসঙ্গে ৯৫ জন রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেয়া যাবে।
গত ২৮ জুন ট্যাংকে লিকুইড অক্সিজেন ভর্তি করা হয়।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাপ্ত ফলাফল পিসিআর ল্যাবে ২১২ টেস্টে ১১৮ পজিটিভ আসে। এছাড়া ১১৭ এন্টিজেন টেস্টে ২২ জনের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। যা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের।
গত মঙ্গলবার পর্যন্ত পিসিআর ল্যাবে ২৮৪ টেস্টে ৫৮ জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এছাড়া ২৬৮ জনের এন্টিজেন টেস্টে ৫৫ জনের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। যা শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
জানা গেছে, জেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু। জেলার কোনো হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সুবিধা না থাকায় তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা রোগীদের পাঠাতে হয় পাশের জেলা রাজশাহী অথবা বগুড়ায়।
গত ৩০ এপ্রিল নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) জন্য দুটি শয্যা ও তিনটি ন্যাজাল ক্যানোলা এসেছে। এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি না থাকা আইসিইউ চালু করা সম্ভব হয়নি। সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের নিচের তলায় করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। যেখানে ৩০টি বেড আছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে করোনা রোগীসহ অন্যান্য জরুরি রোগীদের জন্য লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ প্রয়োজন। হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ট্যাংক ও যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ শেষ হলেও বিস্ফোরক দ্রব্যের লাইসেন্স না থাকায় লিকুইড অক্সিজেন চালু করা সম্ভব হচ্ছিল না।
গত ২৮ জুন ট্যাংকে ৬ হাজার লিটার লিকুইড অক্সিজেন ভর্তি করা হয়। যেখানে চিকিৎসাধীন ৯৫ জন রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেয়া সম্ভব।
নওগাঁ সদর হাসপাতাল ও জেলার তিন উপজেলা সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু আছে। এসব কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ কেন্দ্রের মাধ্যমে এক সঙ্গে ৩০ জন করে রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেয়া সম্ভব।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে অক্সিজেন চালু হয়েছে। রোগীরা ইতোমধ্যে সেবা পেতে শুরু করেছে। ট্যাংকে লিকুইড অক্সিজেনের ধারণক্ষমতা ৬ হাজার লিটার। যেখানে ৯৫টি লাইনে অক্সিজেন সংযোগ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্যের লাইসেন্স না থাকায় লিকুইড অক্সিজেন চালু করা সম্ভব হচ্ছিল না। যেহেতু লাইসেন্সের বিষয়টি ছিল কর্তৃপক্ষের। ওপরের বিষয়টি সমাধান হওয়ার পর লিকুইড অক্সিজেন চালু করা সম্ভব হয়েছে।