স্টাফ রিপোর্টর, নওগাঁঃ ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু নওগাঁতে এ যান বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। নওগাঁর বিভিন্ন স্থানে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে।
বর্তমান সময়ে রিকশা ও ভ্যানে মোটর লাগিয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ যানের সামনে ও পেছনে হালকা ব্রেক রয়েছে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, ব্রেক করেও অনেক সময় নির্দিষ্ট জায়গায় থামানো সম্ভব হয় না। আবার কঠিন করে ব্রেক করা হলে যাত্রীসহ গাড়ি উল্টে যায়। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এজন্য এটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তবে নওগাঁয় ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধ হয়নি। শহরে অবাধে চলছে ক্ষুদ্র এ যান। সদর উপজেলার বর্ষাইল গ্রামের রিকশাচালক আব্দুল মজিদ বলেন, শহরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাড়া মেরে প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকা পাই। এ দিয়েই পরিবারের ছয় সদস্যের পেটের খোরাক হয়। শুনলাম সরকার এসব রিকশা চালাতে দেবে না। সরকার যদি এসব রিকশা চালাতে না দেয় আমাদের সংসার চলা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
রিকশাচালক বেলাল হোসেন বলেন, ‘গত ৩৩ বছর প্যাডেল (পা চালিত) রিকশা চালিয়েছি। তিন বছর হলো ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছি। প্রতিদিন রিকশার মালিককে ৩৩০ টাকা জমা দিতে হয়। দিন শেষে ৬৫০-৭০০ টাকার মতো ভাড়া পাই। এ দিয়েই সংসার চলে। এখন ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করে দিলে আবারো প্যাডেলচালিত রিকশায় ফিরে যেতে হবে।’
নওগাঁ জেলা ইলেকট্রিক ব্যাটারিচালিত চার্জার সমবায় সমিতির সভাপতি রজব আলী বলেন, ‘প্রায় ছয় হাজার ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক তার সমিতির আওতাভুক্ত। পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও বউ সোহাগী রয়েছে প্রায় ৫-৬ হাজার রয়েছে, যা তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আস্তে আস্তে বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’
নওগাঁ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও রিকশা যেন না চলে জন্য আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। শহরের ভেতর যেসব ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও রিকশা চলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে আমাদের অজান্তে অনেকে লুকোচুরি করে আঞ্চলিক মহাসড়কে চালিয়ে থাকতে পারেন।’