ক্রীড়া ডেস্ক: র্যাংকিংয়ে এগিয়ে ভারত। কিন্তু দু’দলের সাম্প্রতিক ম্যাচের ফলাফল বলছে ভিন্ন কথা। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে কাজে আসে না কোনো পূর্বানুমান।
১৯৭৮ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এরপর একে একে দু’দল খেলেছে ২৫টি ম্যাচ। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের পরিসংখ্যানের বিস্তারিত এবারের প্রতিবেদনে।
ভারত-বাংলাদেশ দ্বৈরথ মানে সেটা উত্তেজনা ছড়াবে সীমান্তের দুই প্রান্তে। হোক সেটা ফুটবল বা ক্রিকেট। একসময় ফুটবলে লড়াই হতো সমানে সমান। কিন্তু কালের বিবর্তনে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে ভারত। বর্তমান র্যাংকিংই যা বলে দেয়। ভারতের অবস্থান যেখানে ১০৫, বাংলাদেশ আছে ১৮৪তে।
র্যাংকিংয়ে ব্যবধান বিস্তর। তবে প্রতিপক্ষ ভারত বলেই ম্যাচ থেকে কিছু প্রাপ্তির আশা করাই যায়। দু’দলের সবশেষ ম্যাচই জানান দেয় শক্তিমত্তায় তারা আছে বাংলাদেশের ধরাছোঁয়াতেই।
যদিও ইতিহাস ঘাঁটলে পাওয়া যাবে ভিন্ন তথ্য। পরিসংখ্যানের পাতায় ঢের এগিয়ে ব্লু টাইগার্স। এখন পর্যন্ত খেলা ২৫ ম্যাচে ভারতের জয় ১১টিতে। ১১টি হয়েছে ড্র, আর বাংলাদেশের জয় মাত্র ৩টিতে।
তবে সবাই আশাবাদী হচ্ছে সবশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর। যেখানে দারুণ কৌশলে আফগানদের রুখে দেয় জামাল ভূঁইয়ারা। আর এটাই কাজ করছে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের জয় নেই প্রায় এক যুগ। বর্তমান কোচ ইগর স্টিম্যাকও আছেন চাপে। ক্রোয়েশিয়ার সাবেক এই কোচ, ভারতের দায়িত্ব নেয়ার পর খেলা ১৫ ম্যাচে জিতেছে মাত্র একটিতে। তাই নিশ্চিতভাবেই বলা যায় কাতারের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক খেলা ভারত এবার কৌশল পাল্টাবে।
২০০৯ সালের পর খেলা তিন ম্যাচ হয়েছে ড্র। এর মধ্যে দুটিতেই বাংলাদেশ গোল হজম করে একেবারে শেষ দিকে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ জয় এসেছে ২০০৩-এর সাফ ফুটবলে। অতিরিক্ত সময়ে মতিউর মুন্নার গোল নিশ্চিত করে বাংলাদেশের ফাইনাল।
ভারত সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২৮ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই বৈরী প্রতিদ্বন্দ্বী। এরপর সর্বোচ্চ ২৫ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। আরও একটা ভারত-বাংলাদেশ দ্বৈরথ অপেক্ষা করছে। যে ম্যাচ ফুটবল ভক্তদের হৃদয়ে তৈরি করে নতুন এক ব্যঞ্জনা।