স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ: নওগাঁর রানীনগরে একটি ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, আদালতে দুই আসামির স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান ও লাশ বহনকারী একটি পিকআপ জব্দ করেছে পুলিশ।
রোববার (৩০ মে) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, ১৯ এপ্রিল রানীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের ধনপাড়া গ্রামের একটি পুকুরে এলাকাবাসী প্লাস্টিকের একটি ড্রামের ভিতর অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পায়।
পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠান।
পুলিশ সুপার আরও জানান, নিহতের নাম শহীদুল ইসলাম। সে আত্রাই উপজেলার বাউল্ল্যাপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
পরে নিহতের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, শহীদুল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে কাকরা ট্রলি কেনার জন্য নওগাঁ শহরে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে তার সাথে পরিবারের আর কেউ যোগাযোগ করতে পারে নাই।
তিনি আরো জানান,এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ আত্রাই উপজেলার বাজেধনেশ্বর গ্রামের মমতাজ সরদারের ছেলে আলম সরদার (৩৫) ও বাউল্যাপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মামুনুর রশিদ ঋতু (২১) এবং মান্দা উপজেলার বড়পই গ্রামের ইয়াছিন দেওয়ানের ছেলে জুয়েল রানা ও বয়েন উদ্দিনের ছেলে বুলবুল হোসেন (৪৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে সোপর্দ করে ২দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কিছু তথ্য পাওয়া যায়।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় মান্দা উপজেলার দূর্গাপুর মধ্য পাড়ার আব্দুস সামাদ ছেলে সজিব (২৩) এবং দূর্গাপুর সোনারপাড়া গ্রামের বাহার আলীর ছেলে সোয়েল রানাকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ একেএম মামুন চিশতী ও সদর সার্কেল আবু সাঈদ, রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন আকন্দ, নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জুয়েলসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।