মান্দা, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দায় এক ব্যাবসায়ীর দোকান ঘর নির্মাণে বাঁধা প্রদান,প্রাণ নাশের হুমকি, মারপিট এবং চাঁদা দাবি করায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
ভূক্তভোগী হলেন, প্রসাদপুর ইউপির চকরাজাপুর গ্রামের মৃত ফজি সরদারের ছেলে রেজাইল ইসলাম।
অভিযুক্তরা হলেন, গণেশপুর গ্রামের বাবলু দেওয়ানের ছেলে ৫নং গণেশপুর ইউনিয়ন যুবলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সোহেল এবং একই গ্রামের মকলেছুর রহমানের ছেলে যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।
মান্দা থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার গণেশপুর ইউপির সতিহাট বাজারস্থ শহীদ মিনার মার্কেটের পশ্চিম পার্শ্বের ক্রয়কৃত ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ইতোপূর্ব থেকে সাথী ভ্যারাইটিজ ষ্টোর নামক দোকান করে আসছিলেন। কিন্তু বর্তমানে দোকানের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় নিজস্ব সম্পত্তিতে অনেক পূর্বের নির্মাণকৃত দোকান ঘরটি ভেঙ্গে নতুনভাবে নির্মাণ কাজ শুরু করায় সতিহাট এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ গণেশপুর গ্রামের বাবলু দেওয়ানের ছেলে সোহেল ডাক্তার এবং একই গ্রামের মকলেছুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন সোমবার সকালে নির্মানাধীন ঘরের সামনে দেশীয় অস্ত্র- সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এসে ঘর নির্মাণে বাঁধা প্রদান,প্রাণ নাশের হুমকি, মারপিটসহ ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এতে নিরুপাই হয়ে ওই ব্যবসায়ী তাদের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে তার মতো যেনো আর কোন দোকানদারকে আর চাঁদা দিয়ে সতিহাটে ব্যবসা না করতে হয় সেজন্য তিনি দেশ ও আইনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভূক্তভোগী দোকানদারদের অভিযোগ যে, দীর্ঘদিন থেকে তারা এভাবে বিভিন্নভাবে দোকানদারদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এমনকি একটি ফল ব্যবসায়ী কিংবা একটি মুদি দোকানদারও তাদের ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে তাদেরকে ২০-৫০ হাজার অথবা লক্ষাধিক টাকা চাঁদা না দিয়ে দোকানের একটি খুঁটিও পরিবর্তন করতে পারে না। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসি। দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে তারা দীর্ঘনি যাবৎ এসব অপকর্ম করে আসছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ যে, তারা দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে এবং পেশিশক্তির বল দেখিয়ে ভয়ভীতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। জমি দখল এবং দখল উচ্ছেদ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে চাঁদাবাজি করা যেনো তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী।
এদের থেকে পরিত্রাণ পেতে চায় সাধারণ মানুষ। এক্ষেত্রে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন যে, পরিকল্পিতভাবে তাদের ফাঁসানোর জন্য এ অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।
এ ব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনূর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।