ক্রীড়া ডেস্ক: তিন নম্বর জায়গাটি নিয়ে সেভিয়ার সঙ্গে বার্সেলোনার লড়াই তুঙ্গে। একবার সেভিয়া তিন নম্বরে তো, আরেকবার বার্সেলোনা তিনে। সর্বশেষ ক্যাডিজকে হারিয়ে তিন নম্বরে উঠে এসেছিল সেভিয়া এফসি।
কিন্তু তাদেরকে এই অবস্থানে বেশিক্ষণ থাকতে দিল না বার্সেলোনা। এলচেকে হারিয়ে আবারও তিন নম্বর স্থানটি দখল করে নিলো লিওনেল মেসির ক্লাব।
ম্যাচটি ছিল এলচের মাঠে। অ্যাওয়ে ম্যাচ বলে কিছুটা চিন্তা ছিলই। কারণ, দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার কারণে এলচের বিপক্ষে স্কোয়াডে থাকতে পারেননি ক্লাব অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তাকে ছাড়া অ্যাওয়ে ম্যাচে কি করবে বার্সা, এটা ছিল বিশাল এক চিন্তার বিষয়।
কিন্তু ফ্রাঙ্কি ডি জং যেন একাই যথেষ্ট ছিলেন। একটি গোল তো নিজে করলেনই, আরেকটি গোল করালেন। এই দুই গোলেই শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে এলচের মাঠ মার্টিনেজ ভ্যালেরো ছাড়তে পেরেছিল কাতালানরা। ডি জং ছাড়া বাকি গোলটি করেন রিকি পিগ।
এই জয়ের ফলে ১৯ ম্যাচ শেষে বার্সার পয়েন্ট দাঁড়াল ৩৭। ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তাদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ (দ্বিতীয়), ১৮ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। যারা একই দিন ৩-১ গোলে হারিয়েছে ভ্যালেন্সিয়াকে।
ম্যাচের শুরু থেকেই প্রভাব বিস্তার করে খেলতে থাকে বার্সেলোনা। কিন্তু রোনাল্ড আরাউজো এবং আন্তোনিও গ্রিজম্যান একেবারে পোস্টের সামনে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত হেড মিস করার কারণে শুরুতে এগিয়ে যেতে পারেনি বার্সা।
তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই এলচের গোলের তালা খোলেন ডি জং। ৩৯ মিনিটে তার পা থেকে আসে বার্সার প্রথম গোল। দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট পার হওয়ার পর সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বার্সা।
কিন্তু এমিলিয়ানো রিগোনার পা থেকে আসা দুর্দান্ত শর্টটিকে অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক অ্যান্ডার টের স্টেগান।
ম্যাচের ৮৯ মিনিটে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে নেয় বার্সা। রিকি পিগকে গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি করে দেন ডি জং। সে গোলের পর ২-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ে বার্সা।