ক্রীড়া ডেস্ক: বল ছুঁড়তে গেলে কনুই বেঁকে যায়। আইসিসির নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে যায়। দু’বার এই ঘটনার জন্ম দেন শ্রীলঙ্কান রহস্যময় স্পিনার আকিলা ধনঞ্জয়া। যে কারণে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় তার ওপর।
২০২০ সালের আগস্টে সেই নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তির কথা থাকলেও লঙ্কান এই স্পিনারকে নিজেকে প্রমাণ করতে হয় আইসিসির সামনে। যে কারণে আরও পাঁচ মাস অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে তাকে।
শেষ পর্যন্ত প্রায় দেড় বছর পর আইসিসির নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হলেন ধনঞ্জয়া। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন আগের মতই বোলিং করতে পারবেন তিনি।
আকিলা ধনঞ্জয়াকে রহস্যময় স্পিনার বলার কারণ হচ্ছে, অফব্রেক এবং লেগব্রেক- দুই ভঙ্গিতেই বোলিং করতে পারেন। তিনি বল করার সময় ব্যাটসম্যান বুঝতে পারেন না, সেটি অফ ব্রেক হচ্ছে নাকি লেগ ব্রেক হচ্ছে। এ কারণে অনেক সময়ই ব্যাটসম্যান বিভ্রান্ত হন।
তবে আকিলার বোলিং বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যায়, কনুই অনেক বেশি বাঁকিয়ে নেন তিনি। যেটো আইসিসি নির্ধারিত ১৫ ডিগ্রির বেশি।
১০ মাসের মধ্যে দুইবার এ ধরনের ইলিগ্যাল অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠে ধনঞ্জয়ার বিপক্ষে। পরে গত বছর আগস্টে ভারতের চেন্নাইতে পাঠানো হয় তাকে। যেখানে দেখা যায়, সত্যি সত্যিই ধনঞ্জয়ার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ।
এরপর আইসিসির নিয়মানুযায়ী অটোমেটিক ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যান তিনি। গত বছর আগস্টেই শেষ হওয়ার কথা ছিল তার এই নিষেধাজ্ঞা।
কিন্তু আইসিসির সামনে ধনঞ্জয়াকে অ্যাকশন পরীক্ষা দিতে হয়। নিজেকে প্রমাণ করতে হয়, তার বোলিং অ্যাকশন বৈধ।
কিন্তু করোনার কারণে অনেক কিছুই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, আইসিসি অনুমোদিত ল্যাবে গিয়ে পরীক্ষা দেবেন ধনঞ্জয়া সেটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
শেষ পর্যন্ত তার বোলিংয়ের ফুটেজ দেখে আইসিসির একটি স্বাধীন প্যানেল তার অ্যাকশন বৈধ বলে ঘোষণা দেন এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অনুমতি দেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ থাকলেও ধনঞ্জয়া গত লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন। সেখানে তাকে দেখা যায় গুগলি এবং লেগব্রেক বোলিং করতে।
অবৈধ অ্যাকশন পরিহার করতে তাকে অফব্রেক বোলিং করতে দেখা যায়নি। তবে, টুর্নামেন্টে রহস্যময় বোলিং করলেও আগের সেই ধার আর দেখা যায়নি। কারণ পুরো টুর্নামেন্টে ১০.৫৬ ইকনোমি রেটে মাত্র ২ উইকেট নেন তিনি।