বিনোদন ডেস্ক: করোনার মন্দাকাল কাটিয়ে একে একে প্রেক্ষাগৃহ খুলছে বিশ্বজুড়ে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বছর শেষে বড় বাজেটের দুটি হলিউড সিনেমা যা ব্যবসা করেছে, তা যথেষ্ট আশা জাগানিয়া বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ডিসেম্বরেই মুক্তি পেয়েছে প্রতীক্ষিত দুই হলিউড সিনেমা ‘টেনেট’ ও ‘ওয়ান্ডার ওম্যান ১৯৮৪’। আর বলিউডে মুক্তি পেয়েছে ‘ইন্দু কি জওয়ানি’ এবং ‘শাকিলা’। নভেম্বর থেকে প্রেক্ষাগৃহে পদচারণা শুরু হলেও মূলত ডিসেম্বরেই অনেকটা প্রাণ ফিরে চায় সিনেমা হল।
ডিসেম্বর মাসে বক্স অফিসের খবরাবর যাচাই করে বলিউডের বাণিজ্য বিশ্লেষক গিরিশ জোহর আশা করেন, ২০২১ সাল সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির আয়ের দিক থেকে বেশ সুখবর নিয়েই আসবে। তার মতে, মানুষ ঘরে থাকতে থাকতে ক্লান্ত। এখন তারা প্রেক্ষাগৃহে যেতে চায়।
জন ডেভিড ওয়াশিংটন অভিনীত সায়েন্স-ফিকশন ‘টেনেট’ একটি শহুরে সিনেমা হওয়ার পরও ভালো দর্শক পেয়েছে। ইতোমধ্যে সিনেমাটি ভারতে ১৩ কোটি রুপি আয় করেছে। যা করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বেশ ইতিবাচক।
অন্যদিকে বড়দিনে মুক্তি পাওয়া ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ বেশ ভালোই যাত্রা শুরু করেছে। প্রথম তিনদিনেই সিনেমাটি ৮ কোটি রুপি আয় করেছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘টেনেট’ ও ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ দুটোই সিনেমা হলে দর্শক টানতে সফল হয়েছে। তাদের বক্স অফিসের উপার্জনও বেশ সন্তোষজনক বলেই মনে করছেন জোহর।
তবে এক্ষেত্রে সাড়া জাগাতে কিছুটা ব্যর্থ বলিউড। এ মাসে বলিউডে মুক্তি পেয়েছে দু’টি সিনেমা- ‘ইন্দু কি জওয়ানি’ এবং ‘শাকিলা’।
এদের কেউই সিনেমা হলে তেমন দর্শক টানতে সফল হয়নি। বরং এদের চেয়ে ভালো করেছে তেলুগু সিনেমা ‘সোলো ব্রাথুকে সো বেটার’। সাই ধরম তেজ অভিনীত সিনেমাটি ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার পর ইতোমধ্যে ১১ কোটি রুপি আয় করে ফেলেছে।
করোনা মহামারির কারণে বিনোদন জগতের ক্ষতির পরিমাণ কত? গিরিশ জোহর বলেন, ৩৮০০-৪০০০ কোটি রুপি আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বক্স অফিস। তবে পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।
২০২১ সালের শুরু থেকেই বিনোদন জগতে প্রথমে রাজত্ব করবে দক্ষিণী সিনেমা। মধ্য জানুয়ারি থেকে পঙ্গাল উৎসবকে কেন্দ্র করে একে একে মুক্তি পাবে ‘ক্রাক’ (তেলুগু), ‘মাস্টার’ (তামিল), ‘রেড’ (তেলুগু) এবং ‘আল্লুডু আধুরস’ (তামিল)। অন্যদিকে বলিউডেও অপেক্ষা করছে একঝাঁক সিনেমা। সব মিলিয়ে ২০২১ সাল হবে সিনেমাকে পূর্বের স্থানে ফেরানোর বছর।