ক্রীড়া ডেস্ক: গোড়ালির চোটের কারণে বছরের শেষ ম্যাচটিতে দলের সেরা তারকা ও অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে স্কোয়াডে রাখেননি বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কোম্যান। ঘরের মাঠে তুলনামূলক দুর্বল দল এইবারের বিপক্ষে জয় পেতে অবশ্য মেসিকে দরকার পড়ারও কথা না, বার্সার সহজ জয়ের পক্ষেই ছিল বাজির দর।
কিন্তু মাঠের খেলায় হতাশ করেছেন বার্সেলোনার ফুটবলাররা। একের পর এক গোল মিসের মহড়া, সঙ্গে দুর্ভাগ্যের ছোঁয়া আর শিশুসুলভ ভুলের কারণে জয় পাওয়া হয়নি বার্সার। বছরের শেষ ম্যাচটি তারা ড্র করেছে ১-১ ব্যবধানে। যে কারণে ২০২০ সাল শেষ হলো লিগ টেবিলের ছয় নম্বরে থেকে।
ম্যাচে পরিসংখ্যানগত দিক থেকে এইবারের চেয়ে অনেক এগিয়েই ছিল বার্সেলোনা। পুরো ম্যাচের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সময় বলের দখলে ছিল কাতালানরা, আক্রমণে উঠেছে অন্তত ১৬ বার, লক্ষ্য বরাবর শটও করেছে পাঁচটি। কিন্তু কাজের কাজ গোল হয়েছে মাত্র একবার। এর আগে গোল হজম করায় মেলেনি জয়।
প্রথমার্ধে খেলার শুরুর দিকেই এগিয়ে যেতে পারত বার্সেলোনা। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে তারা পেয়েছিল পেনাল্টি। কিন্তু সেটি থেকে গোল করতে পারেননি মার্টিন ব্রাথওয়েট। ডি-বক্সের মধ্যে রোনাল্ড আরাউজোকে এইবারের ডিফেন্ডার পেদ্রো বিগাস ফাউল করলে, ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
শুরুতে পেনাল্টি মিস করলেও ম্যাচের ২৫ মিনিটের সময় বল জালে প্রবেশ করান ব্রাথওয়েট। কিন্তু সেটি বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে, নষ্ট হয় বার্সেলোনার আরও একটি আক্রমণ। প্রতিপক্ষের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি বার্সেলোনা।
উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে ফিরে বাচ্চাসুলভ এক ভুলে গোল হজম করে তারা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটের সময় মাঝমাঠে বল হারান আরাউজো। সেটি ধরে আক্রমণে ওঠে এইবার। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত শটে জাল কাঁপান এনরিক গার্সিয়া মার্টিনেজ, ন্যু ক্যাম্পে এগিয়ে যায় এইবার।
তবে এটি ফিরিয়ে দিতে সময় নেয়নি বার্সেলোনা। মিনিট দশেকের মধ্যেই ম্যাচে সমতা ফেরান বদলি নামা ওসুমানে দেম্বেলে। বাম পাশ থেকে তাকে বল এগিয়ে দেন জুনিয়র ফিরপো। কোনাকুনি শটে বাকি কাজ সারেন এ ফরাসি তরুণ। চলতি মৌসুমে এটি তার পঞ্চম গোল। যা বার্সেলোনাকে এনে দেয় ১টি পয়েন্ট।
এই ড্রয়ের ফলে ১৫ ম্যাচে ৭ জয় ও ৪ ড্রতে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে অবস্থান করছে বার্সেলোনা। শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সংগ্রহ ১৩ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট। চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ১৫ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দুই নম্বরে।