ক্রীড়া ডেস্ক: ম্যাচের পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ক্রিজে নেমেই ধুমধাড়াক্কা শট খেলার জন্যই তার নাম হয়েছে ‘বুমবুম আফ্রিদি’। ক্যারিয়ারে তিনি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৪৭৬টি! কিন্তু এর উল্টো দিকও আছে।
এই অতিরিক্ত শট খেলার প্রবণতার কারণে ক্যারিয়ারে বহুবার অল্প রানেই বিদায় নিতে হয়েছে এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডারকে।
অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু রেকর্ডও যুক্ত হয়েছে তার নামের পাশে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল্ডেন ডাক বা প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হওয়ার কীর্তিতে (!) তিনি সবার চেয়ে এগিয়ে। শূন্যের আরও এক রেকর্ড তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
পেশাদার ক্রিকেটে গোল্ডেন ডাকের সেঞ্চুরি ২০১৯ সালেই করেছিলেন আফ্রিদি। তবে রেকর্ডটা নিয়ে ডোয়াইন ব্র্যাভোর সঙ্গে যেন ঠাণ্ডা এক লড়াই চলছে তার।
একবার তিনি লজ্জাজনক এই রেকর্ড দখলে নিচ্ছেন, তো আরেকবার যাচ্ছে ক্যারিবীয় অলরাউন্ডারের দখলে। করোনা বিরতির আগে দুজনেই সমান (১৫টি) গোল্ডেন ডাক মেরেছিলেন।
সর্বশেষ আইপিএলে মাত্র দুই ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন ব্র্যাভো। তাতেই এক গোল্ডেন ডাক মেরে এগিয়ে গিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসে এই অলরাউন্ডার।
তবে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) প্লে-অফে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন আফ্রিদি। সেখানেই লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে এলিমিনেটরে প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ব্র্যাভোর রেকর্ডে ভাগ বসান তিনি।
সোমবার (০১ ডিসেম্বর) লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে টাস্কার্সের সঙ্গে গল গ্ল্যাডিয়েটরসের ম্যাচে আবারও গোল্ডেন ডাকের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন আফ্রিদি।
এটি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে তার ১৭তম গোল্ডেন ডাক। একটি কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন ব্র্যাভো। ১৪টি গোল্ডেন ডাক নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে আছেন সাকিব। সমান গোল্ডেন ডাক আছে উমর আকমল ও ডোয়াইন স্মিথেরও।
এদিকে শুধু ডাকের ক্ষেত্রে এখনও শীর্ষস্থানে যেতে পারেননি আফ্রিদি। সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ২৬ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক।
তার সমান শূন্য আছে তারই স্বদেশী কামরান আকমল ও ক্যারিবীয় ওপেনার লেন্ডল সিমন্সের। ২৮ বার ডাক মেরে এই তালিকায় শীর্ষে আছেন আরেক ক্যারিবীয় ওপেনার ডোয়াইন স্মিথ।
বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয় বেশি শূন্য রানে আউট হয়েছেন ইমরুল কায়েস। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এই তেতো স্বাদ পেয়েছেন ১৯ বার। ১৮ বার এই স্বাদ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন সাকিব আল হাসান।