বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা সিরিজ ‘ধুম’। এর দ্বিতীয় কিস্তিতে অভিনয় করে বাজিমাত করে দিয়েছিলেন হৃত্বিক রোশন। ছবিটিতে তার লুকও মন জয় করেছিলো দর্শকের। আজও অনেকে অবসরে এই সিনেমা উপভোগ করতে ভুলেন না।
ছবিটি যারা দেখেছেন তাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, হৃত্বিকের মুখে ছোট্ট হাসি, পরনে কালো গেঞ্জি, চুল উস্কোখুস্কো, কটা চোখ, হাত আর বুক বেয়ে টপ টপ করে ঘাম ঝরছে।
ব্যাকগ্রাউন্ডে মনকাড়া মিউজিকের সঙ্গে বাইকের গর্জন। সেক্স অ্যাপিলের নতুন সংজ্ঞা তৈরি হল ‘ধুম ২’ মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে।
দর্শকমনে দারুণ প্রভাব ফেললেন হৃত্বিক। ছবির নাম বলতে রাকেশ-পুত্রের ওই সেক্সি চেহারাটাই চোখে ভাসে এখনও। ২৪ নভেম্বর, মঙ্গলবার ১৪ বছরে পা দিল সেই সিনেমা। সেই উপলক্ষে ‘মিস্টার এ’ নিজের চরিত্র নিয়ে কলম ধরলেন সোশোল মিডিয়ায়!
২০০৬ সালে বলিউডের পারদ চড়িয়ে ধূ ধূ মরুভূমিতে প্রকট হয়েছিলেন হৃত্বিক রোশন। এত সেক্সি চোর এর আগে দেখেনি কেউ! ‘ধুম ২’ ছবিতে নিজের চরিত্র নিয়ে একটি লম্বা পোস্ট লিখে ফেললেন আরিয়ান ওরফে হৃত্বিক।
সে লেখা পড়েই জানা গেল, ‘ধুম ২’ ছবিটির জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে নিজেকে সম্পূর্ণ বদলাতে হয়েছিল হৃত্বিককে। চরিত্রটিকে বুঝতে, এমনকি প্রতিদিন প্রাণায়ামও করতেন। শুধু ‘হ্যান্ডসাম হাংক মিস্টার এ’ না।
সুন্দরী, বৃদ্ধা রানি থেকে নিথর মূর্তি, সবেতেই তার জৌলুস যেন ফুটে উঠেছে। যে ছবিতে প্রথমবার সেক্স অ্যাপিলের সঙ্গে পরিচয় ঘটছে, সে ছবিতেই তিনি যেন সেক্স অ্যাপিলের সংজ্ঞাই বদলে ফেললেন।
কীভাবে ঘটল এই ম্যাজিক? সেই গোপন তথ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করলেন হৃতিক রোশন। সঙ্গে দিলেন তার ছবির তিনটি কোলাজ। তার কাছে একটি রেসিপি ছিল মাত্র।
ব্রুস উইলিস, পিয়ার্স ব্রসনন ও অমিতাভ বচ্চন। তিন রকমের সেক্স অ্যাপিলের সংজ্ঞা তৈরি করেছিলেন তারা।অভিনেতা তার পোস্টে লিখছেন, ‘তাদের ব্যক্তিত্বগুলি নিয়ে মিক্সিতে পিষে দেখি, যেটা তৈরি হল সেটিই আরিয়ান।
এর আগে ভেবে ভেবে কোনও কুল কিনারা করতে পারছিলাম না।’ শেষে তিনি লিখলেন, ‘আমার এখন মনে হয়, কোথাও গিয়ে আরিয়ান চরিত্রটির কিছুটা চিরকাল আমার ভেতরেই থেকে যাবে।’