ক্রীড়া ডেক্স: প্রথম ম্যাচে নেইমার-অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ারা ছিলেন না। সেই ম্যাচে হার মেনেছিল পিএসজি। দ্বিতীয় ম্যাচে রবিবার রাতে মার্সেলির বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন নেইমার-ডি মারিয়ারা। তবে এবারও জয় পায়নি।
৯ বছর পর পিএসজিকে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে মার্সেলি।
ম্যাচের ৩১ মিনিটে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেছেন মার্সেলির ফ্লোরিয়ান থাউভিন।
হরের সঙ্গী করার পাশাপাশি তিনজন খেলোয়াড়ের নামের পাশে লাল কার্ড নিয়েও মাঠ ছাড়ে পিএসজি। সেই তালিকায় আছেন নেইমার দ্য সিলভা, লিয়ান্দ্রো পার্দেস ও লেইভিন কুরজাওয়া। অবশ্য মার্সেলিরও দু’জন লাল কার্ড দেখেছেন। তারা হলেন জর্ডান আমাভি ও দারিও বেনেদেত্তো।
ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের পুরো ম্যাচেই দু’দলের খেলোয়াড়দের মাঝে দ্বন্দ্ব লেগে ছিল। তবে শেষ সময়ে একেবারে বিস্ফোরণ হলো। খেলার অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে দু’দলের মাঝে ঝামেলা বেধে যায়। একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে ধাক্কাধাক্কিতে জড়ায় দুই দলের ফুটবলাররা। এমনকি একজন আরেকজনকে লাথিও মারতে দেখা যায়।
পিএসজির হয়ে শেষ খেলোয়াড় হিসেবে লাল কার্ড দেখেন নেইমার। তিনি প্রতিপক্ষের আলভারো গনসালেসের মাথার পেছনে হাত দিয়ে আঘাত করেন। রেফারি ভিএআর দেখে নিশ্চিত হন। যদিও দুজনকে এর আগে বিতর্কে জড়াতে দেখা যায়।
পরে গনসালেসের বিরুদ্ধে বর্ণবাদে অভিযোগ তোলেন নেইমার। এক টুইটে নেইমার জানান, সে বর্ণবাদী, তাই আমি তাকে আঘাত করেছি। তবে আমার একটাই আফসোস, আমি তার মুখে আঘাত করতে পারিনি।
আরেক টুইটে নেইমার পরিষ্কার করে জানান, আমার আক্রমণটা ভিএআর সহজেই দেখিয়ে দিল। এখন আমি দেখতে চাই যে আমাকে বাঁদর বলে গালি দিয়েছে তার চেহারাটা। এটাই আমি দেখতে চাই। আমি রেইনবো ফ্লিক করলে আমাকে শাস্তি দেওয়া হয়, আঘাত করার জন্য আমাকে লাল কার্ড দেখতে হয়। তাদের কি হবে? তারপর কি?