ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হঠাৎ ইমরানের ওপর খেপে গেলেন মিয়াঁদাদ, কেন?

জাভেদ মিয়াঁদাদ ও ইমরান খান

ক্রীড়াডেস্কঃ পাকিস্তান ক্রিকেটে হঠাৎ বিস্ফোরণ! হ্যাঁ, একে বিস্ফোরণ ছাড়া আর কিই-বা বলা যায়? দেশটির একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের বিরুদ্ধে ‘ক্রিকেটকে ধ্বংস’ করার অভিযোগ উঠলো।

যেন তেন কেউ নয়, ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক তথা পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই মারাত্মক অভিযোগ তুলে ধরলেন জাতীয় দলে তারই সাবেক সতীর্থ এবং বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য জাভেদ মিয়াঁদাদ।

বড়ে মিয়াঁ খ্যাত মিয়াঁদাদের দাবি, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে (পিসিবি) নিয়োগপ্রাপ্ত বর্তমান কর্মকর্তারা জ্ঞানশূন্য এবং ওরা ক্রিকেটকে নষ্ট করে দিচ্ছে।

ইমরান খান স্বজনপোষণ করছেন। পাকিস্তান ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হচ্ছে বিদেশিদের। আজ পাকিস্তান ক্রিকেটের দুর্দশার জন্য ইমরানই দায়ী।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে মিয়াঁদাদ বলেন, ‘পিসিবির বর্তমান কর্মকর্তারা ক্রিকেটের এবিসিও জানে না। আমি ইমরান খানের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দুঃখজনক বিষয়ে কথা বলব।

আমাদের দেশের জন্য সঠিক নয়, এমন কাউকে আমি ছাড়ব না। আপনি বিদেশ থেকে একজনকে (ওয়াসিম খান) এনেছেন। সে যদি দুর্নীতি করে পালিয়ে যায়, তবে কীভাবে তাকে ধরা হবে? পাকিস্তানের সবাই কি মরে গেছে? যে বাইরে থেকে কাউকে নিয়ে-

আসতে হবে! আমি চাই, পাকিস্তানের জনগণের উত্থান হোক। যদি দেশে ভালো লোক না-থাকতো, তাহলে বাইরে থেকে কাউকে আনা যেত; কিন্তু এমনটা তো নয়।’

মূলতঃ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ওয়াসিম খানকে নিয়েই ক্ষেপেছেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। ওয়াসিম খান জন্মেছেন ইংল্যান্ডে।

মিয়াঁদাদ আরও উল্লেখ করেন, দেশে বিভাগীয় ক্রিকেট বন্ধের সিদ্ধান্তের ফলে অনেক তরুণ ক্রিকেটার বেকার হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে খেলোয়াড়রা খেলছেন, তাদের ক্রিকেটে ভালো ভবিষ্যত থাকা উচিত।

আমি চাই না যে, এই খেলোয়াড়েরা ভবিষ্যতে শ্রমিকের কাজ করুক। বিভাগগুলি বন্ধ করার পরে, অনেক খেলোয়াড় বেকার হয়ে পড়েছে। এখন তারা কর্মসংস্থানের খোঁজ করছে। আমি আগেও এটি বলছিলাম, কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি।’

এমনিতে ইমরানের সঙ্গে মিয়াঁদাদের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না কখনো। এবার তিনি রাজনীতিতে নেমে ইমরানকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানোর হুঁশিয়ারি দিলেন।

তিনি বলেন, ‘ভুলে যেও না, আমি তোমার ক্যাপ্টেন ছিলাম। তুমি কখনও আমার ক্যাপ্টেন ছিলে না। আমি রাজনীতিতে নেমে তোমার সঙ্গে সামনা-সামনি কথা বলব। এখন তুমি এমন আচরণ করছ, যেন তুমিই ঈশ্বর। যেন এই দেশে তুমিই একমাত্র বুদ্ধিমান।

আর যেন কেউ কখনও অক্সফোর্ড বা কেমব্রিজ যায়নি। আসলে তুমি এই দেশের ব্যাপারে ভাবোই না। তোমার উচিত এখন নিজেদের লোককে সাহায্য করা। পাকিস্তানের কথা ভাবা।’

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

হঠাৎ ইমরানের ওপর খেপে গেলেন মিয়াঁদাদ, কেন?

আপডেট সময় ০৭:৫২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০

ক্রীড়াডেস্কঃ পাকিস্তান ক্রিকেটে হঠাৎ বিস্ফোরণ! হ্যাঁ, একে বিস্ফোরণ ছাড়া আর কিই-বা বলা যায়? দেশটির একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের বিরুদ্ধে ‘ক্রিকেটকে ধ্বংস’ করার অভিযোগ উঠলো।

যেন তেন কেউ নয়, ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক তথা পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই মারাত্মক অভিযোগ তুলে ধরলেন জাতীয় দলে তারই সাবেক সতীর্থ এবং বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য জাভেদ মিয়াঁদাদ।

বড়ে মিয়াঁ খ্যাত মিয়াঁদাদের দাবি, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে (পিসিবি) নিয়োগপ্রাপ্ত বর্তমান কর্মকর্তারা জ্ঞানশূন্য এবং ওরা ক্রিকেটকে নষ্ট করে দিচ্ছে।

ইমরান খান স্বজনপোষণ করছেন। পাকিস্তান ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হচ্ছে বিদেশিদের। আজ পাকিস্তান ক্রিকেটের দুর্দশার জন্য ইমরানই দায়ী।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে মিয়াঁদাদ বলেন, ‘পিসিবির বর্তমান কর্মকর্তারা ক্রিকেটের এবিসিও জানে না। আমি ইমরান খানের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দুঃখজনক বিষয়ে কথা বলব।

আমাদের দেশের জন্য সঠিক নয়, এমন কাউকে আমি ছাড়ব না। আপনি বিদেশ থেকে একজনকে (ওয়াসিম খান) এনেছেন। সে যদি দুর্নীতি করে পালিয়ে যায়, তবে কীভাবে তাকে ধরা হবে? পাকিস্তানের সবাই কি মরে গেছে? যে বাইরে থেকে কাউকে নিয়ে-

আসতে হবে! আমি চাই, পাকিস্তানের জনগণের উত্থান হোক। যদি দেশে ভালো লোক না-থাকতো, তাহলে বাইরে থেকে কাউকে আনা যেত; কিন্তু এমনটা তো নয়।’

মূলতঃ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ওয়াসিম খানকে নিয়েই ক্ষেপেছেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। ওয়াসিম খান জন্মেছেন ইংল্যান্ডে।

মিয়াঁদাদ আরও উল্লেখ করেন, দেশে বিভাগীয় ক্রিকেট বন্ধের সিদ্ধান্তের ফলে অনেক তরুণ ক্রিকেটার বেকার হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে খেলোয়াড়রা খেলছেন, তাদের ক্রিকেটে ভালো ভবিষ্যত থাকা উচিত।

আমি চাই না যে, এই খেলোয়াড়েরা ভবিষ্যতে শ্রমিকের কাজ করুক। বিভাগগুলি বন্ধ করার পরে, অনেক খেলোয়াড় বেকার হয়ে পড়েছে। এখন তারা কর্মসংস্থানের খোঁজ করছে। আমি আগেও এটি বলছিলাম, কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি।’

এমনিতে ইমরানের সঙ্গে মিয়াঁদাদের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না কখনো। এবার তিনি রাজনীতিতে নেমে ইমরানকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানোর হুঁশিয়ারি দিলেন।

তিনি বলেন, ‘ভুলে যেও না, আমি তোমার ক্যাপ্টেন ছিলাম। তুমি কখনও আমার ক্যাপ্টেন ছিলে না। আমি রাজনীতিতে নেমে তোমার সঙ্গে সামনা-সামনি কথা বলব। এখন তুমি এমন আচরণ করছ, যেন তুমিই ঈশ্বর। যেন এই দেশে তুমিই একমাত্র বুদ্ধিমান।

আর যেন কেউ কখনও অক্সফোর্ড বা কেমব্রিজ যায়নি। আসলে তুমি এই দেশের ব্যাপারে ভাবোই না। তোমার উচিত এখন নিজেদের লোককে সাহায্য করা। পাকিস্তানের কথা ভাবা।’