আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের হাতে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে পাকিস্তান সীমান্তেও বেড়েছে উত্তেজনা।
সকাল থেকে পরপর দুবার গুলি ছুঁড়েছে পাকিস্তানি বাহিনী। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনার গুলিতে এক ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। নিহত সেনার নাম হাবিলদার দীপক কার্কি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, ভোর সাড়ে ৩টা নাগাদ কৃষ্ণা ঘাঁটি ও নৌসেরা সেক্টরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে পাকিস্তানি সেনা।
এর পরে কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে ফের ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ আবারও গুলি ছুঁড়তে থাকে পাকিস্তান। এই হামলায় এখন পর্যন্ত এক ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো সামনে আসেনি।
দাবি করা হচ্ছে, জঙ্গিদের প্রবেশ করার ক্ষেত্রে সুবিধা করে দিতেই গুলি ছুঁড়ে ভারতীয় সেনাকে ব্যস্ত রাখার পুরনো পদ্ধতি নিয়েছে পাকিস্তান।
জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশপ্রধান দিলবাগ সিং বলেছেন, ‘চলতি বছরে বারবার সামনে আসছে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা।
লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন সংঘর্ষের জেরে কাশ্মীরের ওপর চাপ বাড়ানো হবে, হিংসা ছড়াতে আরো জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করবে পাকিস্তান। সেই চেষ্টাই করছে পাকিস্তানি সেনারা।’
তিনি আরো দাবি করেন, করোনা পরিস্থিতির সময় থেকেই টানা অনুপ্রবেশ চেষ্টা চালিয়েছে পাকিস্তান, আমাদের অতিরিক্ত সতর্কতা নিয়ে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে হবে।
জম্মু ও কাশ্মীরের লাইন অব কন্ট্রোলের ওপারে লঞ্চপ্যাডে ৩০০ জন জঙ্গি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হিংসা ছড়াতে অনুপ্রবেশের জন্য তৈরি আছে। সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।