ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাটে পারিবারিক কলহের জের ধরে গৃহবধু রাবিয়া খাতুন (২৮) কে অমানবিক ভাবে পিটিয়ে জখম করেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর স্বজনরা।
নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামীসহ ৩ জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ।
অভিযোগ সুত্রে, উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত চৌঘাট কাজল গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. গোলাপ হোসেন (৩২) ও পাশ্ববর্তী উপজেলা সাপাহারের তুলশিপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে রাবিয়া খাতুন (২৮) এর সঙ্গে পারিবারিক ভাবে ১৩ বছর পূর্বে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর স্ত্রীর সাথে প্রায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হতো।
বর্তমানে রাবিয়া খাতুন দুই সন্তানের জননী।
সন্তান আর দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হওয়ায় কোন প্রতিবাদ করতেন না স্ত্রী রাবিয়া খাতুন। এক পর্যায়ে স্বামীর নিকট অমানবিক নির্যাতনের কারণ জানতে চাইলে গোলাপ হোসেন স্ত্রী রাবিয়া খাতুনের নিকট ৪ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করেন। দরিদ্র ঘরের মেয়ে হওয়ায় যৌতুকের টাকা না দিতে পারার কথা বললে গত শনিবার সকালে স্বামী গোলাপ হোসেনসহ তার বড় বোন এবারন বিবি (৬৫) ও ছোট ভাই আতোয়ার হোসেন (৩৭) রাবিয়া খাতুনকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে জখম করে বাসা থেকে বের করে দেয়।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় জখমি রাবিয়া খাতুনকে উদ্ধার করে নিকটস্থ্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার ২দিন পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ধামইরহাট থানার উপপরিদর্শক মো. সবুজ মিয়া জানান, বিয়ষটি নিয়ে রাবিয়া খাতুন একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।