ঢাকা ১০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিয়ামতপুরে বিলে পুকুরের বাঁধ নির্মাণ, হাজার বিঘা জমিতে আমন রোপণ ব্যাহত

  • নাহিদ ইসলাম:
  • আপডেট সময় ০৪:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬০১ Time View

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের পুঙ্গি গ্রামের কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, পুঙ্গি বিলে নির্মিত একটি পুকুরের মালিক ইচ্ছাকৃতভাবে পানি নিষ্কাশনের মুখ বন্ধ করে পুকুরের পাহাড় নির্মাণে কৃত্রিম বাঁধ সৃষ্টি করে। যার ফলে প্রায় ১ হাজার বিঘা জমির আমন ধান রোপন ব্যাহত ও শতাধিক বিঘার ধান চারা নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

রবিবার ১০ আগস্ট সকাল ১০ টায় পুঙ্গি বিল সংলগ্ন সড়কে শতাধিক ভুক্তভোগী কৃষক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে বিক্ষোভ করেন।

কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মামুনুর রশিদ মামুন,হারুনুর রশিদসহ কয়েকজন এই পুকুরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন। তারা পানি বের হওয়ার মুখ বন্ধ করে দীর্ঘদিন ধরে পানি আটকে রেখেছেন। এর ফলে আশপাশের জমিতে জমে থাকা পানি নামতে না পেরে আমন ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকের জমিতে এখন পর্যন্ত কমর পরিমান পানি থাকায় আমন ধানের চারা রোপন করতে পারছেন না।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও পানি নিষ্কাশনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি অভিযুক্তরা। এতে সাধারণ কৃষক পরিবারগুলো অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

পোরশা,সাপাহার, পত্নীতলা,মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর উপজেলার আংশিক পানি এই বিল দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু এই পুকুরের জন্য কৃত্রিমভাবে তিনটি বাঁধ নির্মাণের ফলে একটু বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় এই জমিগুলো। যার ফলে আমন ধান রোপনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা।

তিন শতাধিক ভুক্তভোগী কৃষকের গণস্বাক্ষরে ইতিমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দেওয়া হয়েছে একটি লিখিত অভিযোগ। অভিযোগপত্রে বলা হয়, কৃষকদের জীবন-জীবিকা রক্ষায় এবং আসন্ন রোপণ মৌসুমে যাতে আর কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মুর্শিদা খাতুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত প্রক্রিয়া দিন রয়েছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

নিয়ামতপুরে বিলে পুকুরের বাঁধ নির্মাণ, হাজার বিঘা জমিতে আমন রোপণ ব্যাহত

আপডেট সময় ০৪:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের পুঙ্গি গ্রামের কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, পুঙ্গি বিলে নির্মিত একটি পুকুরের মালিক ইচ্ছাকৃতভাবে পানি নিষ্কাশনের মুখ বন্ধ করে পুকুরের পাহাড় নির্মাণে কৃত্রিম বাঁধ সৃষ্টি করে। যার ফলে প্রায় ১ হাজার বিঘা জমির আমন ধান রোপন ব্যাহত ও শতাধিক বিঘার ধান চারা নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

রবিবার ১০ আগস্ট সকাল ১০ টায় পুঙ্গি বিল সংলগ্ন সড়কে শতাধিক ভুক্তভোগী কৃষক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে বিক্ষোভ করেন।

কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মামুনুর রশিদ মামুন,হারুনুর রশিদসহ কয়েকজন এই পুকুরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন। তারা পানি বের হওয়ার মুখ বন্ধ করে দীর্ঘদিন ধরে পানি আটকে রেখেছেন। এর ফলে আশপাশের জমিতে জমে থাকা পানি নামতে না পেরে আমন ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকের জমিতে এখন পর্যন্ত কমর পরিমান পানি থাকায় আমন ধানের চারা রোপন করতে পারছেন না।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও পানি নিষ্কাশনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি অভিযুক্তরা। এতে সাধারণ কৃষক পরিবারগুলো অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

পোরশা,সাপাহার, পত্নীতলা,মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর উপজেলার আংশিক পানি এই বিল দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু এই পুকুরের জন্য কৃত্রিমভাবে তিনটি বাঁধ নির্মাণের ফলে একটু বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় এই জমিগুলো। যার ফলে আমন ধান রোপনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা।

তিন শতাধিক ভুক্তভোগী কৃষকের গণস্বাক্ষরে ইতিমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দেওয়া হয়েছে একটি লিখিত অভিযোগ। অভিযোগপত্রে বলা হয়, কৃষকদের জীবন-জীবিকা রক্ষায় এবং আসন্ন রোপণ মৌসুমে যাতে আর কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মুর্শিদা খাতুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত প্রক্রিয়া দিন রয়েছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।