ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল চিকিৎসকের

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এবার মারা গেলেন তরুণ চিকিৎসক তাহসিন আজমী। রোববার (৩ আগস্ট) নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হলেও সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে এ তথ্য জানান জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।

চিকিৎসক তাহসিন চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) ইয়ংওয়ান লিমিটেডের চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। থাকতেন হালিশহর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়।

তাঁর স্বামী তৌহিদুল ইসলাম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।

জানা যায়, গত ২৯ জুলাই তাহসিন আজমীর জ্বর আসে। পরদিন পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। ৩১ জুলাই তাহসিনের রক্তে প্লাটিলেট (অণুচক্রিকা) ৩০ হাজারে নেমে আসে। তখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। গত শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে নগরের মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাহসিনকে। দ্রুত খারাপ হতে থাকে পরিস্থিতি। এক পর্যায়ে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাকে। রোববার সকালে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে রাতে মারা যান তিনি।

তৌহিদুল ইসলাম জানান, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে রক্তচাপ কমে যাচ্ছিল। তাকে এইচডিইউতে নেওয়া হয়। কিন্তু ওখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো হচ্ছিল ধীরগতিতে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও দেখছিলেন। হাসপাতাল থেকে রোগী ভালো আছে বলা হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার রাতে অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে।

তিনি আরও জানান, তাহসিনের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আমার হাত ধরে ছিল সে। আর বারবার বলেছে আমাকে সুহাইরার (মেয়ে) জন্য বাঁচতে হবে। এটাই তার শেষ কথা। এরপর জ্ঞান হারায়।

এদিকে সোমবার বিকেলে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে ওই চিকিৎসক ছাড়াও ধুখি চাকমা নামে আরও একজনের মৃত্যুর খবর জানায়। ধুখি রাঙামাটির বাসিন্দা। ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৫ জুলাই তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত দেড়টার দিকে মারা যান তিনি। এনিয়ে চট্টগ্রাম ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪৫ জন।

ট্যাগস

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল চিকিৎসকের

আপডেট সময় ০১:২৩:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এবার মারা গেলেন তরুণ চিকিৎসক তাহসিন আজমী। রোববার (৩ আগস্ট) নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হলেও সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে এ তথ্য জানান জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।

চিকিৎসক তাহসিন চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) ইয়ংওয়ান লিমিটেডের চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। থাকতেন হালিশহর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়।

তাঁর স্বামী তৌহিদুল ইসলাম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।

জানা যায়, গত ২৯ জুলাই তাহসিন আজমীর জ্বর আসে। পরদিন পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। ৩১ জুলাই তাহসিনের রক্তে প্লাটিলেট (অণুচক্রিকা) ৩০ হাজারে নেমে আসে। তখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। গত শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে নগরের মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাহসিনকে। দ্রুত খারাপ হতে থাকে পরিস্থিতি। এক পর্যায়ে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাকে। রোববার সকালে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে রাতে মারা যান তিনি।

তৌহিদুল ইসলাম জানান, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে রক্তচাপ কমে যাচ্ছিল। তাকে এইচডিইউতে নেওয়া হয়। কিন্তু ওখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো হচ্ছিল ধীরগতিতে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও দেখছিলেন। হাসপাতাল থেকে রোগী ভালো আছে বলা হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার রাতে অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে।

তিনি আরও জানান, তাহসিনের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আমার হাত ধরে ছিল সে। আর বারবার বলেছে আমাকে সুহাইরার (মেয়ে) জন্য বাঁচতে হবে। এটাই তার শেষ কথা। এরপর জ্ঞান হারায়।

এদিকে সোমবার বিকেলে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে ওই চিকিৎসক ছাড়াও ধুখি চাকমা নামে আরও একজনের মৃত্যুর খবর জানায়। ধুখি রাঙামাটির বাসিন্দা। ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৫ জুলাই তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত দেড়টার দিকে মারা যান তিনি। এনিয়ে চট্টগ্রাম ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪৫ জন।