ঢাকা ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত

কলম্বো টেস্ট শুরুর আগেই গুঞ্জন ছিল—টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগে এমন একটি প্রসঙ্গ সামনে আসায় আলোচনা বেড়েছিল আরও। যদিও ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেছিলেন, শুধু খেলায় মনোযোগী হওয়ার কথা।

তবে আজ কলম্বোয় ইনিংস ও ৭৮ রানে হারের পর সেই আলোচনা আর জল্পনা-জটিলতায় রাখেননি। ম্যাচ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে শান্ত জানিয়ে দিয়েছেন—তিনি আর টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব করবেন না।

ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমার একটা ঘোষণা ছিল। আমি বাংলাদেশ দলের টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব হিসেবে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। আমি টেস্ট সংস্করণে আর ধারাবাহিক হতে চাই না। আমি একটা বিষয়ে সবাইকে পরিস্কারভাবে ম্যাসেজটা দিতে চাই, এটা কোনো ব্যক্তিগত কোনো কিছু না। এটা দলের ভালোর জন্যই এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি । আমি মনে করি, এটাতে দলের ভালো কিছুই হবে।’

এর আগে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শান্তকে। তখন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আলোচনা ছাড়াই তাঁর অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়।

গলে প্রথম টেস্টে ব্যাটিং ও নেতৃত্বে দারুণ ভূমিকা রাখেন শান্ত। তিনি টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়বেন না বলেও আশা করেছিলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে এসে সব ছাপিয়ে হতাশায় আচ্ছন্ন বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে ধসে পড়ার সেই পুরোনো গল্প। দুই ইনিংস মিলে শ্রীলঙ্কার এক ইনিংসের রান করতে না পারা, কিছুটা হতাশারই।

ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথম টেস্ট যেভাবে শেষ করেছিলাম, তারপর এই টেস্টের পারফরম্যান্স খুবই হতাশাজনক। প্রথম ইনিংসে আমাদের ব্যাটিং মান অনুযায়ী হয়নি। সুযোগ ছিল, কিন্তু আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি।’

শান্তর নেতৃত্বে ১৪ টেস্টে ৪ জয়ের বিপরীতে ৯ হার, একটি ম্যাচ ড্র করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে দেশের মাঠে প্রথম টেস্ট জয় ছিল বাংলাদেশ বিশেষ অর্জন।

ট্যাগস

টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত

আপডেট সময় ১২:৩১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

কলম্বো টেস্ট শুরুর আগেই গুঞ্জন ছিল—টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগে এমন একটি প্রসঙ্গ সামনে আসায় আলোচনা বেড়েছিল আরও। যদিও ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেছিলেন, শুধু খেলায় মনোযোগী হওয়ার কথা।

তবে আজ কলম্বোয় ইনিংস ও ৭৮ রানে হারের পর সেই আলোচনা আর জল্পনা-জটিলতায় রাখেননি। ম্যাচ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে শান্ত জানিয়ে দিয়েছেন—তিনি আর টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব করবেন না।

ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমার একটা ঘোষণা ছিল। আমি বাংলাদেশ দলের টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব হিসেবে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। আমি টেস্ট সংস্করণে আর ধারাবাহিক হতে চাই না। আমি একটা বিষয়ে সবাইকে পরিস্কারভাবে ম্যাসেজটা দিতে চাই, এটা কোনো ব্যক্তিগত কোনো কিছু না। এটা দলের ভালোর জন্যই এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি । আমি মনে করি, এটাতে দলের ভালো কিছুই হবে।’

এর আগে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শান্তকে। তখন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আলোচনা ছাড়াই তাঁর অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়।

গলে প্রথম টেস্টে ব্যাটিং ও নেতৃত্বে দারুণ ভূমিকা রাখেন শান্ত। তিনি টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়বেন না বলেও আশা করেছিলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে এসে সব ছাপিয়ে হতাশায় আচ্ছন্ন বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে ধসে পড়ার সেই পুরোনো গল্প। দুই ইনিংস মিলে শ্রীলঙ্কার এক ইনিংসের রান করতে না পারা, কিছুটা হতাশারই।

ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথম টেস্ট যেভাবে শেষ করেছিলাম, তারপর এই টেস্টের পারফরম্যান্স খুবই হতাশাজনক। প্রথম ইনিংসে আমাদের ব্যাটিং মান অনুযায়ী হয়নি। সুযোগ ছিল, কিন্তু আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি।’

শান্তর নেতৃত্বে ১৪ টেস্টে ৪ জয়ের বিপরীতে ৯ হার, একটি ম্যাচ ড্র করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে দেশের মাঠে প্রথম টেস্ট জয় ছিল বাংলাদেশ বিশেষ অর্জন।