ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় কেন্দ্রীয় কৃষক দল নেতাকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সম্ভাব্য সংঘর্ষের আশঙ্কায় উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই আদেশ জারি করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে রায়হানুর রহমান। আদেশে উপজেলা সদরে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
জানা যায়, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি ও ফরিদপুর-১ আসনের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে বহিষ্কারের দাবিতে তৃণমূল বিএনপির ব্যানারে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনের ডাক দেন অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকেরা। মানববন্ধনের ব্যানারে উল্লেখ করা হয়, ‘মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের বিএনপিতে যোগদান করানোর জন্য খন্দকার নাসিরুল ইসলামের বহিষ্কারের দাবি।’
অন্যদিকে একই সময়ে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থকেরাও পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। দুই পক্ষ একই স্থানে অবস্থান নেওয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। পুলিশ দ্রুত উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়। পরে সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে আলফাডাঙ্গা বাজার ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এ কে রায়হানুর রহমান বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় ও সংঘর্ষের আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। যা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এবং প্রয়োজনে সময় বাড়ানো হতে পারে।’
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) মো. ইমরুল হাসান বলেন, ‘পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং দুই গ্রুপই স্থান ত্যাগ করেছে।’
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকেল ৫টায় আলফাডাঙ্গার বেজিডাঙ্গা আমেনা ওয়াহেদ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে সদর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মনিরুল ইসলাম মাসুদ মাস্টার, যিনি ২০২২ সালের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন এবং উপজেলা কৃষক লীগের সদস্য ছিলেন। সভার প্রধান অতিথি ছিলেন খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। এ সভা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রতিপক্ষ গ্রুপ।