ঢাকা ০৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে ফ্ল্যাটে মিলল ২ বোনের রক্তাক্ত মরদেহ

রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে বয়স্ক দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত দুজনে সম্পর্কে আপন বোন ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন বিআইডব্লিউটিএর সাবেক কর্মী।

শুক্রবার (৯ মে) রাতে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের ধরন দেখে প্রতিহিংসামূলক বর্বরতা মনে হয়।

মিরপুরের পশ্চিম শেওয়াপাড়া তোরাব আলী মসজিদের পাশের ৬৪৯ নম্বর এই বাড়িতে ঘটে এক মর্মান্তিক ঘটনা। দিবাগত রাত ৯টার দিকে বাড়ির দ্বিতীয় তলার বি-১ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় ষাটোর্ধ্ব মরিয়ম বেগম ও তার ৫২ বছর বয়সী বোন সুফিয়া বেগমের মরদেহ।

স্বজনরা জানান, নিহত মরিয়ম ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর সাবেক কর্মী, স্বামীও সরকারি চাকরি করতেন, থাকেন বরিশাল। এক মেয়ে মিষ্টি থাকেন কর্মব্যস্ত তাই ছোট বোন সুফিয়াকে নিয়েই শেষ সময় অতিবাহিত করতেন। পরিচিতজনরা বলেন শত্রুতা সৃষ্টি হয় এমন লোক ছিলেন না তারা। তবুও এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার কীভাবে তা একটি রহস্য।

পুলিশ, পিআইবি ও সিআইডির সদস্যরা দীর্ঘ সময় ধরে আলামত সংগ্রহ করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসার দারোয়ানকে নেন হেফাজতে।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) সাজ্জাদ আলী বলেন, হত্যাকারীরা বাসায় ঢুকেছিল শুধু দুজনকে মারার জন্যেই, হত্যার ধরনেও হিংস্রতা স্পষ্ট। তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনের আশ্বাস দেন তিনি। পরে দুজনের মরদেহ নেওয়া হয় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে

ট্যাগস

রাজধানীতে ফ্ল্যাটে মিলল ২ বোনের রক্তাক্ত মরদেহ

আপডেট সময় ০১:৩৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে বয়স্ক দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত দুজনে সম্পর্কে আপন বোন ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন বিআইডব্লিউটিএর সাবেক কর্মী।

শুক্রবার (৯ মে) রাতে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের ধরন দেখে প্রতিহিংসামূলক বর্বরতা মনে হয়।

মিরপুরের পশ্চিম শেওয়াপাড়া তোরাব আলী মসজিদের পাশের ৬৪৯ নম্বর এই বাড়িতে ঘটে এক মর্মান্তিক ঘটনা। দিবাগত রাত ৯টার দিকে বাড়ির দ্বিতীয় তলার বি-১ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় ষাটোর্ধ্ব মরিয়ম বেগম ও তার ৫২ বছর বয়সী বোন সুফিয়া বেগমের মরদেহ।

স্বজনরা জানান, নিহত মরিয়ম ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর সাবেক কর্মী, স্বামীও সরকারি চাকরি করতেন, থাকেন বরিশাল। এক মেয়ে মিষ্টি থাকেন কর্মব্যস্ত তাই ছোট বোন সুফিয়াকে নিয়েই শেষ সময় অতিবাহিত করতেন। পরিচিতজনরা বলেন শত্রুতা সৃষ্টি হয় এমন লোক ছিলেন না তারা। তবুও এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার কীভাবে তা একটি রহস্য।

পুলিশ, পিআইবি ও সিআইডির সদস্যরা দীর্ঘ সময় ধরে আলামত সংগ্রহ করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসার দারোয়ানকে নেন হেফাজতে।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) সাজ্জাদ আলী বলেন, হত্যাকারীরা বাসায় ঢুকেছিল শুধু দুজনকে মারার জন্যেই, হত্যার ধরনেও হিংস্রতা স্পষ্ট। তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনের আশ্বাস দেন তিনি। পরে দুজনের মরদেহ নেওয়া হয় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে