ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে দিনমজুর হত্যায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় দিনমজুরকে হত্যার দায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক এ কে এম কামাল উদ্দিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) সামছু মিয়া জানান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার বার চান্দুরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এমরান মিয়া, একই গ্রামের মারাজ মিয়ার ছেলে সোলেমান মিয়া, মৃত হরমুজ আলীর ছেলে জাহেদ মিয়া ও মুরাদপুর গ্রামের মৌলা মিয়া ছেলে আবুল মিয়া।

মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, উপজেলার বার চান্দুরা গ্রামের ছাবু মিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে আসামিদের মধ্যে একজনের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ছাবু মিয়া এর প্রতিবাদ করেন। এর জের ধরে ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল ছাবুকে হত্যার পর মরদেহ জঙ্গলে ফেলে রাখা হয়।

এ ঘটনায় ছাবু মিয়ার ভাই হাফিজ মিয়া তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। একই বছরের ২১ মে মাধবপুর থানার এসআই আলমগীর হোসেন পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। প্রায় ১৬ বছর পর ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলা চলাকালে আসামি মারাজ মিয়া মারা যাওয়ায় আদালত তাকে অব্যাহতি দেন।

বাদী হাফিজ মিয়া বলেন, “১৬ বছর অতিকষ্টে মামলা পরিচালনা করেছি। হত্যাকাণ্ডের শিকার আমার ভাই সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। আমি এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। আমি চাই, দ্রুত যেন রায় কার্যকর করা হয়।”

পিপি সামছু মিয়া বলেন, “এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।”

ট্যাগস

হবিগঞ্জে দিনমজুর হত্যায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৭:১৪:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় দিনমজুরকে হত্যার দায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক এ কে এম কামাল উদ্দিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) সামছু মিয়া জানান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার বার চান্দুরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এমরান মিয়া, একই গ্রামের মারাজ মিয়ার ছেলে সোলেমান মিয়া, মৃত হরমুজ আলীর ছেলে জাহেদ মিয়া ও মুরাদপুর গ্রামের মৌলা মিয়া ছেলে আবুল মিয়া।

মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, উপজেলার বার চান্দুরা গ্রামের ছাবু মিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে আসামিদের মধ্যে একজনের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ছাবু মিয়া এর প্রতিবাদ করেন। এর জের ধরে ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল ছাবুকে হত্যার পর মরদেহ জঙ্গলে ফেলে রাখা হয়।

এ ঘটনায় ছাবু মিয়ার ভাই হাফিজ মিয়া তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। একই বছরের ২১ মে মাধবপুর থানার এসআই আলমগীর হোসেন পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। প্রায় ১৬ বছর পর ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলা চলাকালে আসামি মারাজ মিয়া মারা যাওয়ায় আদালত তাকে অব্যাহতি দেন।

বাদী হাফিজ মিয়া বলেন, “১৬ বছর অতিকষ্টে মামলা পরিচালনা করেছি। হত্যাকাণ্ডের শিকার আমার ভাই সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। আমি এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। আমি চাই, দ্রুত যেন রায় কার্যকর করা হয়।”

পিপি সামছু মিয়া বলেন, “এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।”