ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের বিরুদ্ধে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর বিরুদ্ধে এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মুরাদুর রহমান মুন্না (৩০), তিনি উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দিকে মুন্না তার ধানক্ষেত দেখতে সীমান্তের কাছাকাছি যান। ওই সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং পরে নির্মমভাবে পিটিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে রেখে চলে যায়। বিজিবির টহল দল পরে মুন্নাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। স্বজনরা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় মুন্নার স্ত্রী রত্না ও বোন আমেনা খাতুন সরকারের কাছে বিচার দাবি করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আরাফাত বলেন, ‘হাসপাতাল আনার পর আমরা তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা মৃত ঘোষণা করি। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।’

এ বিষয়ে সরাইল ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, মুন্না অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তবে বিএসএফ তাকে ধরেছে নাকি অন্য কেউ হামলা চালিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিজিবির টহল দলের তথ্যমতে, মুন্না ভারতে প্রবেশের পর সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরেছিলেন এবং এক স্থানীয় ব্যক্তির মাধ্যমে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।’

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ট্যাগস

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের বিরুদ্ধে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর বিরুদ্ধে এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মুরাদুর রহমান মুন্না (৩০), তিনি উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দিকে মুন্না তার ধানক্ষেত দেখতে সীমান্তের কাছাকাছি যান। ওই সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং পরে নির্মমভাবে পিটিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে রেখে চলে যায়। বিজিবির টহল দল পরে মুন্নাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। স্বজনরা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় মুন্নার স্ত্রী রত্না ও বোন আমেনা খাতুন সরকারের কাছে বিচার দাবি করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আরাফাত বলেন, ‘হাসপাতাল আনার পর আমরা তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা মৃত ঘোষণা করি। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।’

এ বিষয়ে সরাইল ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, মুন্না অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তবে বিএসএফ তাকে ধরেছে নাকি অন্য কেউ হামলা চালিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিজিবির টহল দলের তথ্যমতে, মুন্না ভারতে প্রবেশের পর সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরেছিলেন এবং এক স্থানীয় ব্যক্তির মাধ্যমে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।’

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।