ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যা অভিযোগ

  • স্টাফ রিপোটার :
  • আপডেট সময় ০৪:৪০:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৬১৫ Time View

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ঝরনা বেগম (২০) নামের ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ছাউনিয়া গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ঝরনা বেগম রামপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে ও ছাউনিয়া গ্রামের রেজ্জাক মিয়ার ছেলে আশিক মিয়ার স্ত্রী।

স্বজনরা জানায়, বছর খানেক আগে আশিকের সঙ্গে ঝরনা বেগমের বিয়ে হয়। এর পর থেকেই আশিক ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য ঝরনাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছিলেন। এরই একপর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে স্বামীর ঘরের ভেতর ঝরনার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।

এ বিষয়ে ঝরনা বেগমের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে মেয়ের মৃত্যুর খবর শোনার পর সেখানে গিয়ে মরদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই। আমার মেয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যার প্রচারণা চালাচ্ছে আশিকের পরিবার।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় আশিকের বাবা রেজ্জাক মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

গাইবান্ধায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যা অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:৪০:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ঝরনা বেগম (২০) নামের ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ছাউনিয়া গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ঝরনা বেগম রামপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে ও ছাউনিয়া গ্রামের রেজ্জাক মিয়ার ছেলে আশিক মিয়ার স্ত্রী।

স্বজনরা জানায়, বছর খানেক আগে আশিকের সঙ্গে ঝরনা বেগমের বিয়ে হয়। এর পর থেকেই আশিক ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য ঝরনাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছিলেন। এরই একপর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে স্বামীর ঘরের ভেতর ঝরনার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।

এ বিষয়ে ঝরনা বেগমের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে মেয়ের মৃত্যুর খবর শোনার পর সেখানে গিয়ে মরদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই। আমার মেয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যার প্রচারণা চালাচ্ছে আশিকের পরিবার।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় আশিকের বাবা রেজ্জাক মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।