বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী নিরাপত্তা জোট গঠন করতে চায় পাকিস্তান। দুই দেশের সেনাবাহিনীর এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর)।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি শহরে সেনা সদরদপ্তরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামর-উল-হাসানের।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, দুই দেশের প্রতিরক্ষাবাহিনীর মধ্যকার সহযোগিতাপূর্ণ বিভিন্ন উদ্যোগ ও পদক্ষেপের মাধ্যমেই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষা সম্ভব এবং পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বপূর্ণ সম্পর্ক উপমহাদেরশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার জন্য খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশের পিএসও লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামর-উল-হাসান পাকিস্তানের সেনাবাহনীর পেশাদারিত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে বলেন, সন্ত্রাসবাদ দমনের লড়াইয়ে ব্যাপক আত্মদানের মাধ্যমে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিজেকে সাহস এবং দৃঢ় সংকল্পের বাতিঘরে পরিণত করেছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনমালে গত ১৫ বছর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে ছিল। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যেও পড়েছিল তার প্রভাব।
২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দেশত্যাগের মাধ্যমেই পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। বর্তমানে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব একটি অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতায় আছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনের পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়। ইতোমধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহম্মদ ইউনূসের মধ্যে কয়েক বার বৈঠক হয়েছে, দু’দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি ও বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলও ফের শুরু হয়েছে।